Gujarat Hit and Run Case

এক মাস আগেও বরোদাকাণ্ডে ধৃত তরুণকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পুলিশ! প্রকাশ্যে অপরাধের ইতিহাস

ওই ঘটনার মাত্র এক মাস আগেই থানায় হাজিরা দিতে হয়েছিল রক্ষিতকে। ফতেহগঞ্জের একটি আবাসনে ‘পার্টি’ করার নামে শোরগোল করছিলেন রক্ষিত ও তাঁর বন্ধুরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ১৯:৩৬
Share:

(বাঁ দিকে) দুর্ঘটনার দৃশ্য। ধৃত তরুণ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

গুজরাতের বরোদায় একাধিক পথচারীকে গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনায় ২০ বছর বয়সি রক্ষিত চৌরাসিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বার জানা গেল, ওই ঘটনার মাত্র এক মাস আগেই থানায় হাজিরা দিতে হয়েছিল রক্ষিতকে। ফতেহগঞ্জের একটি আবাসনে ‘পার্টি’ করার নামে শোরগোল করছিলেন রক্ষিত ও তাঁর বন্ধুরা। সে যাত্রায় অবশ্য ক্ষমা চাওয়ার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

জানা গিয়েছে, গত মাসেই ওই আবাসনে সন্ধ্যা থেকে পার্টি করছিলেন রক্ষিত ও তাঁর কয়েক জন সঙ্গীসাথী। ওই আবাসনেই এক আইনজীবীর দফতর রয়েছে। কাজে বিঘ্ন হওয়ায় তিনি রক্ষিতদের চুপ করতে বলেন। কিন্তু তরুণেরা উল্টে তাঁকে হুমকি দেওয়া এবং গালিগালাজ করতে শুরু করে দেন বলে অভিযোগ। শেষমেশ বাধ্য হয়ে পুলিশ ডাকেন ওই আইনজীবী। পুলিশ এসে তরুণদের সায়াজিগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। সেখানে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয় সকলকে। তবে ওই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। শুধুমাত্র থানার ডায়েরিতে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ১৩ মার্চ রাতে বরোদার করেলিবাগ এলাকায় ব্যস্ত রাস্তায় একের পর এক পথচারীকে ধাক্কা দেন রক্ষিত। এই ঘটনায় স্কুটিচালক এক মহিলার মৃত্যুও হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ঘটনার পর পরই অভিযুক্তকে ধরে বেদম প্রহারের পর পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়েরা। অভিযোগ, একের পর এক পথচারীকে ধাক্কা মারার পরে গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার করে রক্ষিত বলছিলেন, ‘‘আরও এক বার হয়ে যাক!’’ যদিও ধরা পড়ার পর তরুণ দাবি করেছেন, ঘটনার সময়ে তিনি মত্ত ছিলেন না, চালকের আসনের এয়ারব্যাগ খুলে যাওয়ায় কিছু দেখতে পাচ্ছিলেন না তিনি। ফলে কে সামনে আসছে, কাকে ধাক্কা মারছেন— কিছুই তিনি বুঝতে পারছিলেন না! তাঁর আরও দাবি, গাড়ির চাকা রাস্তার গর্তে পড়ে যাওয়ার কারণে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। ওই ঘটনার তদন্তে নেমেই রক্ষিতের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে নানা পুরনো অভিযোগ। জানা গিয়েছে, প্রায়ই এ রকম নানা বাগ্‌বিতণ্ডা এবং হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়তেন ওই তরুণ। এর পরেই ফের নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রক্ষিত মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন না, এই দাবিও বিশ্বাস হয়নি পুলিশের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement