ফাইল ছবি।
টিকা নেওয়া হোক বা না হোক, ঘরে-বাইরে মাস্ক পরে থাকতেই হবে। মেনে চলতে হবে সামাজিক দূরত্ববিধি। আর কোনও বদ্ধ ঘরে থাকা চলবে না। ঘরে আলো, বাতাস চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে।
ভারতে কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গ ভয়াবহ হয়ে ওঠার পর এখন দেশের নাগরিকদের কী কী বাধ্যতামূলক, তা জানাতে শনিবার তাঁর টুইটে এই কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা কে বিজয়রাঘবন।
বিজয়রাঘবন লিখেছেন, ‘টিকা নেওয়া হোক বা না হোক, এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস্ক পরা,সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা। আর আলো, বাতাস চলাচল করে এমন ঘরে থাকা’। দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর চাপ কমাতেই নাগরিকদের এই সব নিয়মবিধি মেনে চলা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি। ব্যক্তিগত ও সামাজিক স্তরে, সকলেরই এটা মেনে চলা উচিত বলে মন্তব্য তাঁর।
কেন্দ্রীয় সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, শনিবার ভারতে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৮। মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৮০। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে অবশ্য শনিবার এও জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের ঘটনা কমেছে ৩১ হাজার।
তবে দ্বিতীয় ঢেউই যে শেষ নয়, তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী, কেন্দ্রীয় সরকারকে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য বিজ্ঞান উপদেষ্টা। বিজয়রাঘবন লিখেছেন, ‘যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী। তবে সেই তৃতীয় ঢেউ কবে উঠবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরবর্তী ঢেউগুলির জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে’।
দেশের বাজারে চালু টিকাগুলির সার্স-কভ-২ ভাইরাসের ব্রিটিশ রূপের মতো কয়েকটি প্রকারকে মানবদেহে অকেজো করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও আগামী দিনে ভাইরাসটির নতুন নতুন রূপেরও যাতে মোকাবিলা করা যায়, তার জন্য টিকাগুলিরও নিয়মিত পরিবর্তন, পরিমার্জন করার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
দেশে প্রথম তরঙ্গ শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছেছিল গত সেপ্টেম্বরে। তার পরেই তা নামতে শুরু করে। কেন নেমেছিল? বিজয়রাঘবনের বক্তব্য, ‘দুটি কারণে। সংক্রমণের কিছু দিন পরেই মানবদেহে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠতে শুরু করে। প্রশাসনিক ভাবেও কঠোর পদ্ধতিতে সমস্যার মোকাবিলা করা হয়েছিল’।