ছবি: সংগৃহীত।
রোপওয়ে খারাপ হয়ে মাঝ পথে কেবল কারে ঝুলে রইলেন উত্তরাখণ্ডের এক বিধায়ক। টানা ৪৫ মিনিট ও ভাবেই ঝুলে থাকার পর তাঁকে শেষপর্যন্ত উদ্ধার করা হয়। তাঁর সঙ্গেই ওই রোপওয়েতে অনিশ্চিত ভাবে ঝুলছিলেন আরও ৫৯ জন যাত্রী। ঘটনাটি উত্তরাখণ্ডেরই। এই ঘটনায় নিজের রাজ্যের প্রশাসনকেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ওই বিধায়ক।
উত্তরাখণ্ডের তেহরি জেলায় সুরকন্দা দেবীর মন্দিরে যাওয়ার রোপওয়েতে ঘটনাটি ঘটে রবিবার। তবে তেহরির গাড়োয়ালের এসএসপি নবনীত ভুল্লার জানিয়েছেন, রোপওয়ে এখন স্বাভাবিক। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই ৪৫ মিনিটের ওই বিপদ তৈরি হয়েছিল। শেষপর্যন্ত বিধায়ক-সহ সমস্ত যাত্রীদের নিরাপদেই নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ওই বিধায়ক এত সহজে ব্যাপারটি ছেড়ে দিতে চাননি। তিনি সোজা সাপটা জানিয়েছেন, গভীর খাদের উপর নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে এ ভাবে রোপওয়েতে ৪৫ মিনিট ঝুলে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ। প্রশাসনের এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত। আমরা এ ভাবে কোনও ব্যক্তির জীবন বিপন্ন করতে পারি না!
দেশে রোপওয়ে বিভ্রাট এর আগেও হয়েছে। জুন মাসে হিমাচল প্রদেশের সোলানে ১১ জন যাত্রী ঘণ্টা ছ’য়েক আটকে ছিলেন রোপওয়েতে। মে মাসে মধ্যপ্রদেশে পুণ্যার্থীদের একটি দলও আটকে পড়েছিলেন রোপওয়েতে। উত্তরাখণ্ডের ওই বিধায়ক জানিয়েছেন, রোপওয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকেই। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তা-ও তাদেরই নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত রবিবারই দেশ জুড়ে রোপওয়ে গুলির নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা শুরু করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। রোপওয়েগুলির পরিকাঠামোগত কোনও ত্রুটি থাকছে কি না তা খুঁজে বের করাই হবে এই সমীক্ষার লক্ষ্য।