Uttarakhand

তেজষ্ক্রিয় যন্ত্রের উত্তাপেই উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয়, দাবি চামোলির বাসিন্দাদের

গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, নন্দাদেবীতে হারানো যন্ত্রটি ফের বড়সড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:৩২
Share:

জুগজু গ্রামের অনেকের দাবি, রবিবার হড়পা বানে কাদামাটি ধেয়ে আসার সময় তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ পেয়েছিলেন তাঁরা। ছবি: পিটিআই।

অর্ধশতকেরও বেশি আগে হারিয়ে যাওয় একটি তেজষ্ক্রিয় যন্ত্রের উত্তাপেই হয়তো উত্তরাখণ্ডে বিপর্যয় ঘটেছে। এমনটাই দাবি করছেন ওই রাজ্যের রাইনি এবং জুগজু গ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

রবিবার উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ভেঙে হড়পা বানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে চামোলি জেলার রাইনি গ্রাম। ১৯৬৫ সালে নন্দাদেবীতে একটি গোপন অভিযানে একটি তেজষ্ক্রিয় যন্ত্র হারিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেছেন অনেকে। তাঁদের আরও দাবি, চিনের উপর নজরদারির জন্যই আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-এর সঙ্গে সে বছর ওই যৌথ অভিযান করেছিলেন এ দেশের আইবি-র গোয়েন্দারা। তবে তুষারঝড়ের জন্য ওই যন্ত্রটি নন্দাদেবীর পাদদেশেই রেখে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। বছরখানেক পর নন্দাদেবীতে ফিরে ওই যন্ত্রটি আর খুঁজে পাননি গোয়েন্দারা। এর পর হারানো যন্ত্রটির খোঁজে বহু অভিযান হলেও তা পাওয়া যায়নি।

জুগজু গ্রামের অনেকের দাবি, রবিবার হড়পা বানে কাদামাটি ধেয়ে আসার সময় তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ পেয়েছিলেন তাঁরা। জুগজু গ্রামের বাসিন্দা দেবেশ্বরী দেবীর দাবি, ‘‘ওই ঝাঁঝালো গন্ধ এতটাই তীব্র ছিল যে কিছুক্ষণের জন্য আমাদের দমবন্ধ হয়ে আসছিল। শুধুমাত্র বরফ আর ধ্বংসস্তূপে এমন গন্ধ পাওয়া যায় না।’’ এর পর থেকেই গ্রামের লোকেদের মধ্যে ওই তেজষ্ক্রিয় যন্ত্রের তত্ত্ব জোরালো হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন দেবেশ্বরী দেবী। তাঁদের মতে, হয়তো ওই যন্ত্রের উত্তাপেই হিমবাহ গলতে শুরু করেছে।

Advertisement

রাইনি এবং জুগজু গ্রামের বাসিন্দাদের বহু পূর্বপুরুষ ওই যৌথ অভিযানের মালবাহকের কাজ করেছিলেন। রবিবারের বিপর্যয়ের পর লোকমুখে সেই অভিযানের কথা ফের ঘুরতে শুরু করেছে। তাঁদের আশঙ্কা, নন্দাদেবীতে হারানো যন্ত্রটি ফের বড়সড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। তবে শুধুমাত্র গ্রামবাসীরাই নন, ২০১৮ সালে একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন উত্তরাখণ্ডের পর্যটনমন্ত্রী স়ৎপাল মহারাজ। ওই যন্ত্রটি খুঁজে বার করার জন্য দল পাঠাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement