তুষারধসে এখনও নিখোঁজ ২২ পর্বতারোহী। ফাইল চিত্র।
উত্তরাখণ্ডের গঢ়ওয়াল হিমালয়ের ‘দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২’ শিখরের অদূরে মঙ্গলবারের তুষারধসে মৃত আরও পাঁচ পর্বতারোহীর দেহ উদ্ধার করা হল বৃহস্পতিবার। এ পর্যন্ত মোট ন’জনের দেহ উদ্ধার করা হল সেখানে। উত্তরকাশীর পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণকেন্দ্র ‘নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং’ (নিম)-এর তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত তাদের পর্বতারোহী দলের ২২ জন নিখোঁজ।
উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা আরও কয়েকটি দেহের সন্ধান পেয়েছেন বলে উত্তরাখণ্ড সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে। কিন্তু দুর্গমতা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে দেহগুলি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ‘দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২’ অভিযানে এ বার ‘নেহরু ইনস্টিটিউট অফ মাউন্টেনিয়ারিং’-এর মোট ৪১ জনের দল গিয়েছিল। তাতে ছিলেন মোট ন’জন প্রশিক্ষক। সাত প্রশিক্ষক-সহ মোট ১২ জনকে এ পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই দলে স্থানীয় কিছু মালবাহক ছিলেন বলেও উত্তরাখণ্ড পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে চার জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, উত্তরাখণ্ডের এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী তথা নিমের প্রশিক্ষক সবিতা কাঁসওয়াল, আরও এক প্রশিক্ষক নাউমি এবং দুই শিক্ষার্থী। সবিতা ভারতের দ্বিতীয় এভারেস্টজয়ী মহিলা পর্বতারোহী যাঁর মৃত্যু হল হিমালয়ে দুর্ঘটনায়। তাঁর আগে ২০১৪ সালের মে মাসে কাঞ্চনজঙ্ঘা জয়ের পরে ইয়াংলুং কাং শৃঙ্গে আরোহণ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল বাংলার ছন্দা গায়েনের।
গঢ়ওয়াল হিমালয়ের ‘দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২’ শৃঙ্গের উচ্চতা ৫,৬৭০ মিটার। ওই অঞ্চল দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসাবেও পরিচিত হয়। পর্বতারোহণ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পাহাড়ের ঢালে জমা তুষারে স্তূপ হঠাৎ ধসে গিয়েই প্রাণ কেড়েছে সবিতাদের। ওই দলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন বাংলার তিন জন। তাঁরা-সহ মোট ২২ জন শিক্ষার্থী এখনও নিখোঁজ।