বিপাকে আজম খান। ফাইল চিত্র।
ঘৃণাভাষণের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আজম খানের ৩ বছর জেলের সাজা হল। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল রামপুর আদালত। বিকেলেই সাজা ঘোষণা। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের জেলের সাজা হলে সাংসদ-বিধায়কদের পদ খারিজ হয়। ফলে বৃহস্পতিবারই সেই আইন অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ হওয়ার কথা রামপুরের বিধায়ক আজমের।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে রামপুর কেন্দ্রে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হয়েছিলেন আজম। ভোটের প্রচারে তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রামপুরের জেলাশাসক অনুজেন্দ্র সিংহের বিরুদ্ধে প্ররোচণামূলক বক্তৃতা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার সেই অভিযোগের সত্যতা মেনে নিয়েছে আদালত। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ (গোষ্ঠীগত শত্রুতা বাড়ানো), ৫০৫-১ (প্ররোচণামূলক মন্তব্য করে অস্থিরতা সৃষ্টি)-সহ একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে আজমকে।
গত লোকসভা ভোটে জিতলেও গ্রেফতার করা হয়েছিল আজমকে। প্রায় দু’বছর সীতাপুর জেলে কাটিয়ে চলতি বছরে মুক্তি পান তিনি। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে জেতার পরে রামপুরের সাংসদ পদে ইস্তফা দেন। কিন্তু উপনির্বাচনে ওই লোকসভা কেন্দ্র দখল করে বিজেপি। এ বার ৭ মাস আগে আজমের জেতা রামপুর বিধানসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন অনিবার্য হয়ে পড়ল। আদালতের সাজা ঘোষণার পর আজম বলেন, ‘‘এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আমি উচ্চতর আদালতে আবেদন জানাব।’’