—প্রতীকী চিত্র।
উত্তরপ্রদেশে এ বার এক সাংবাদিক এবং তাঁর স্ত্রীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ সামনে এল। প্রাক্তন গ্রামপ্রধান এবং তাঁর পরিবারের লোকজন ওই দম্পতিকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তের নাগাল মেলেনি। কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে তিন পুলিশ অফিসারকেও।
সোমবার উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রের কোনে গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত উদয় পাসোয়ান একটি হিন্দি সংবাদপত্রে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, চাষের জমি নিয়ে প্রাক্তন গ্রামপ্রধান কেবল পাসোয়ান ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ঝামেলা ছিল তাঁর। কেবল ও তাঁর পরিবারের কাছ থেকে হুমকিও পেতেন বলে অভিযোগ।
সেই নিয়ে ২০১৬, ২০১৮ এবং এ বছর তিন-তিনটি মামলাও ওঠে কোর্টে। তার পরেও হেনস্থা বন্ধ না হওয়ায় সোমবার স্ত্রী শীতলাকে সঙ্গে নিয়ে কোনে থানায় যান উদয়। তাঁদের নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান। সেই থানা থেকে ফেরার পথেই সন্ধ্যায় লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হয় কেবলের লোকজন। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় উদয়ের। মঙ্গলবার বারাণসীর হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রীর।
আরও পড়ুন: নামেই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ, সময় এলেই পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে বিজেপি: শিবসেনা
কেবল এবং তাঁর পরিবারের লোকজন মিলে তাঁর বাবা-মাকে খুন করেছে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন উদয়ের ছেলে বিনয়। তার ভিত্তিতে কেবল, তাঁর স্ত্রী, কৌশল্যা, তিন ছেলে জিতেন্দ্র, গব্বর এবং সিকন্দরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। কেবলের অধীনে কর্মরত একলাখ আলম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের। তবে মূল অভিযুক্ত কেবল গা ঢাকা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাধ্যের চেয়ে বেশি আসনে লড়েই বিহারে কংগ্রেসের এই পরিণতি: চিদম্বরম
তবে গোটা ঘটার জন্য পুলিশ এবং প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন বিনয়। তিনি জানান, বহু দিন ধরে পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে আসছিলেন তাঁর বাবা। কিন্তু এলাকার থানা তাতে ভ্রূক্ষেপও করেনি। বিষয়টি নিয়ে লখনউয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দরবারেও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। সোনভদ্র পুলিশকে সেইমতো নির্দেশও দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। তার পরেও নিরাপত্তা পাননি তাঁরা। এই ঘটনার পর কোনে থানার এক জন ইনস্পেক্টর, এক জন সাব ইনস্পেক্টর, এবং এক কনস্টেবলকে কর্তব্যে অবহেলার জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।