প্রতীকী ছবি।
হাতের লেখা পড়া যায় না। সেই অপরাধে উত্তরপ্রদেশের তিন চিকিৎসককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট।
চিকিৎসকদের একাংশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয়। বহু ক্ষেত্রেই চিকিৎসক নিজে এবং ওষুধের দোকানের কর্মীরা ছাড়া হাতের লেখা পড়া যায় না বলে অভিযোগ করে রোগীর পরিবার। তবে সেই অপরাধে আদালতে জরিমানা হওয়ায় ঘটনা এই প্রথম।
আদালত সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে তিনটি ফৌজদারি মামলার শুনানি ছিল কোর্টে। ওই মামলায় আক্রান্তদের আঘাত কতটা গুরুতর তার বিশদ বিবরণ-সহ হাসপাতালের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল কোর্ট। কিন্তু তিন চিকিৎসকের লেখা সেই রিপোর্টগুলি পড়া যাচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। আদালতের কাজ এতে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে এই অভিযোগে বুধবার বিচারপতি অজয় লাম্বা ও বিচারপতি সঞ্জয় হরকউলির বেঞ্চ ওই তিন চিকিৎসক, উন্নাওয়ের টিপি জায়সবাল, সীতাপুরের পি কে গয়াল ও গোন্ডার আশিস সাক্সেনাকে আদালতের গ্রন্থাগারে পাঁচ হাজার টাকা জমা দিতে বলে। চিকিৎসকেরা এর জন্য অতিরিক্ত কাজের চাপকেই দায়ী করেছেন।
এই প্রসঙ্গে ২০১২ সালে প্রকাশিত রাজ্য সরকারের একটি নির্দেশিকা চিকিৎসকদের মনে করিয়ে দেয় বেঞ্চ। তাতে বলা হয়েছিল, এই ধরনের আইনি কাজে পেশ করা চিকিৎসকদের রিপোর্ট পাঠযোগ্য হতেই হবে। বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের রিপোর্ট কোনও মামলায় গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে মামলা খারিজ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। ফলে প্রয়োজনে চিকিৎসকেরা কম্পিউটারে লিখে রিপোর্ট তৈরি করুন।