উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। —ফাইল চিত্র।
ভোটের প্রাক্কালে নিজের কেন্দ্রেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী ঘোষণার পরে গত কালই প্রথম বার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র সিরাথুতে গিয়েছিলেন কেশব। সেখানে জেলা পঞ্চায়েতের এক সদস্যের বাড়ি গিয়েছিলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা। ওই পঞ্চায়েত সদস্য গত তিন ধরে নিখোঁজ। পরিবারের দাবি, পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও হদিশ মেলেনি। ক্রমশ উত্তাপ বাড়ছিল সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কেশবকে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন গ্রামবাসীরা।
সেই ঘটনার একটি ভিডিয়োও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, উপমুখ্যমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কিছু মানুষ।
গত ২০১২ সাল থেকে সিরাথুর বিধায়ক কেশব। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সহকারীর দায়িত্ব পেয়েছেন কেশব। দল ও গোটা রাজ্যেই গুরুত্ব এবং ক্ষমতা অনেকটাই বেড়েছে কেশবের। ভোটের মুখে বহু ওবিসি নেতা-মন্ত্রী বিজেপি ছেড়ে বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ার পরে আরও প্রভাব বেড়েছে কেশবের। ভোটের মুখে নিজের কেন্দ্রে সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার এ হেন বিক্ষোভের মুখোমুখি হওয়া কার্যত নজিরবিহীন। বিরোধীদের অভিযোগ, খোদ উপমুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-আন্দোলন গোটা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির দুর্দশার প্রতিফলন।
যদিও সিরাথু সফরে কেশবের সঙ্গী তথা বিজেপি মুখপাত্র নবীন শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, নিখোঁজ জেলা পঞ্চায়েত সদস্য রাজেশ মৌর্যের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ইতিমধ্যেই রাজেশকে খুঁজে বার করতে অনেকগুলি দল গঠন করেছে পুলিশ। তা সত্ত্বেও গ্রামবাসীদের দাবি মেনে তল্লাশি অভিযানে বিশেষ দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন কেশব।
এর পাশাপাশি বিরোধীদের কটাক্ষের পাল্টা বিজেপি মুখপাত্র জানান, যে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়েছে তার পিছনে রয়েছে বিরোধীদের কারসাজি। উদ্দেশপ্রণোদিত ভাবে ওই ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে উপমুখ্যমন্ত্রীকে কালিমালিপ্ত করা যায়।