২০০১-এ কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে। -ফাইল চিত্র
নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কাজিম হুসেন। তাঁর বাবা উস্তাদ বিসমিল্লা খানের পাঁচ পাঁচটি সানাই স্রেফ নেই!
পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছেন কাজিম। তিনি জানিয়েছেন, বারাণসীর ডাল মান্ডিতে এখন তাঁদের বাড়ি। কিছু দিন আগে সানাই শিল্পীর পরিবার এখানকার নতুন বাড়িতে উঠে এসেছেন। ৩০ নভেম্বর ডাল মান্ডি থেকে পৈতৃক ভিটে সরাই হারায়ে গিয়েছিলেন কাজিমরা। রবিবার রাতে আবার ফিরে আসেন ডাল মান্ডি। কিন্তু নতুন বাড়িতে ঢোকার মুখেই থমকে যান তিনি। দেখেন মূল ফটকের তালা ভাঙা। তড়িঘড়ি ঘরে ঢুকে আরও চমকে যান। দেখা যায়, উস্তাদ বিসমিল্লা খানের পাঁচটি সানাই নেই। তার মধ্যে চারটি রুপোর। একটি কাঠের।
কাজিমের দাবি, কাঠের সানাইটি সব চেয়ে বেশি মূল্যবান তাঁদের কাছে। কারণ মহরমের পঞ্চম এবং সপ্তম দিনে উস্তাদ এই সানাইটিই বাজাতেন। স্বভাবতই সানাই চুরির ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন শিল্পীর পুত্র।
শুধু সানাই নয়, চুরি গিয়েছে দু’টি সোনার চুড়ি আর বেশ কিছু স্মারকও। উস্তাদের রুপোর সানাইগুলো বেশির ভাগই উপহার পাওয়া। কাজিম জানাচ্ছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাও, আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ যাদব এবং কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল ও শৈলেশ ভগত বিভিন্ন সময়ে সেই সানাইগুলি শিল্পীকে উপহার দেন।
তবে শিল্পীর সম্পদে এই প্রথম চোরদের হাত পড়ল, এমন নয়। দু’বছর আগে আরও একটি সানাই উধাও হয়ে যায়। সেটি নিয়ে প্রতিদিন ভোরে গঙ্গার ঘাটে রেওয়াজ করতেন উস্তাদ বিসমিল্লা খান। তার হদিস এখনও মেলেনি।