এই টুইট ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
প্রথমে জঙ্গি হামলাকে ‘বিস্ফোরণ’ বলে উল্লেখ। তার পর নরেন্দ্র মোদীর নামের বানান ভুল। তার জেরে বিতর্কে জনপ্রিয় মার্কিন সংবাদপত্র দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হচ্ছে তাদের।
ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ওই সংবাদপত্রের ওয়েব পোর্টালে। আসন্ন নির্বাচনের আগে পুলওয়ামার ঘটনায় বিজেপির পালে হাওয়া লেগেছে বলে তাতে দাবি করা হয়।
কিন্তু সেই প্রতিবেদনটি টুইট করতে গিয়েই বিপত্তি দেখা দেয়। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওই টুইট এবং প্রতিবেদনে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলাকে ‘বিস্ফোরণ’বলে উল্লেখ করা হয়। এমনকি, ইংরেজিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামের বানানও ভুল লেখা হয়।
আরও পড়ুন: মোদীর ‘ঘরে’ই আজ কংগ্রেসের বৈঠক, এই প্রথম বক্তৃতা করবেন প্রিয়ঙ্কা!
তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতে সময় লাগেনি। এত মারাত্মক ভুল হয় কী করে, প্রশ্ন তোলেন অনেকে। শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। বিষয়টি নজরে পড়তেই যদিও ভুল সংশোধন করে নেয় নিউ ইয়র্ক টাইমস। নতুন শিরোনাম দিয়ে বানান ঠিক করে নেয়। ভুল বানান সমেত ওই টুইটটিও মুছে দেওয়া হয়। তবে তত ক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ছড়িয়ে পড়েছে। আর তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ।
নেটিজেনদের মধ্যে কেউ বলেন, ‘পুলওয়ামার হামলা যদি বিস্ফোরণ হয়, তাহলে ৯/১১-ও হামলা নয়। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উপর নিশ্চয়ই কোনও বিমান ভেঙে পড়েছিল।’ টুইট মুছে লাভ হবে না, বরং কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, সমস্ত ভারতবাসীর কাছে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি তোলেন অনেকে।
এ ভাবেই সমালোচনায় সরব হন নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: প্রার্থীদের ফৌজদারি অপরাধের তথ্য বিজ্ঞাপন দিয়ে জানাতে হবে, নয়া নির্দেশিকা কমিশনের
তবে এখনও পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক টাইমসের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।