ফাইল চিত্র।
প্রতিবেশী চিনের সঙ্গে ডোকলাম নিয়ে উত্তেজনা কমেনি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার গোয়ার বন্দরে একটি মার্কিন রণতরী নোঙর ফেলায় নানান জল্পনা শুরু হয়েছে। কৌতূহলী প্রশ্নেরও শেষ নেই।
নয়াদিল্লির মার্কিন দূতাবাস অবশ্য জানিয়েছে, ৭০০ জন সেনাকে নিয়ে ‘ইউএসএস পার্ল হারবার’ নামে তাদের একটি জাহাজ গোয়ায় পৌঁছেছে। বন্দরে থাকাকালীন ভারতের নৌসেনা এবং মেরিন কম্যান্ডোদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন সেনারা। আলোচনা হবে মূলত উভচর যুদ্ধের (অ্যাম্ফিবিয়াস ওয়ারফেয়ার) কলাকৌশল নিয়েই।
চিনের সঙ্গে উত্তেজনা চলাকালীন মার্কিন রণতরীর এ দেশে আগমন নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ‘ইউএসএস পার্ল হারবার’ উভচর যুদ্ধের উপযোগী। অর্থাৎ সেনা এবং যুদ্ধের যানবাহনকে কার্যত ডাঙায় পৌঁছে দিতে পারে এই জাহাজ। দু’পক্ষের আলোচনার বিষয়বস্তুও নৌ, আকাশ ও স্থলভূমির যৌথ যুদ্ধ।
মার্কিন রণতরীর আগমন কি তা হলে এশিয়ার সামরিক কূটনীতিতে নতুন কোনও দিঙ্নির্দেশের ইঙ্গিত দিচ্ছে?
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা অবশ্য এই ধরনের প্রশ্ন বা জল্পনা উড়িয়ে দিচ্ছেন। ভারতীয় নৌসেনার মুখপাত্র ক্যাপ্টেন ডি কে শর্মা বলেন, ‘‘মার্কিন রণতরী পূর্বপরিকল্পনা অনুসারেই বন্দর পরিদর্শনে এসেছে। দু’পক্ষের কোনও যৌথ মহড়াও হচ্ছে না। এই ধরনের পরিদর্শন খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।’’ এই আগমন যে পূর্বপরিকল্পিত, তা জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাসও। তারা আরও জানিয়েছে, গোয়ায় অবস্থানকালে স্থানীয় জনগণের সঙ্গেও আলাপ জমাবেন মার্কিন সেনারা। এ দেশের সংস্কৃতি, আচার-ব্যবহারের সঙ্গেও পরিচিত হতে চাইছেন তাঁরা।
মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, ‘পার্ল হারবার’ নামে জাহাজটির মূল ঘাঁটি সান দিয়েগোয়। তবে সে-দেশের ‘মেরিন এক্সপিডেশনারি ইউনিট’-এর অঙ্গ হিসেবে জাহাজটি ‘ইন্দো-এশিয়া-প্যাসিফিক’ অর্থাৎ ভারত-এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। মূলত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সামরিক দৌত্য এবং আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সাহায্যের কাজেই লাগানো হচ্ছে তাকে।