— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
লোহিত সাগর ধরে ভারতের দিকে আসছিল অপরিশোধিত তেলের একটি ট্যাঙ্কার। সেটিকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামাল চালাল ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। রবিবার এ কথা জানাল আমেরিকা। 'সাইবাবা' নামে ওই ট্যাঙ্কারে ছিলেন কয়েক জন ভারতীয়। ড্রোন হামলায় কেউ হতাহত হননি। তবে ঘটনার পরেই তাঁরা ওই চত্বরে আমেরিকার একটি জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ সে কথা জানিয়েছে আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ড।
শনিবার ভারত মহাসাগরে ইজ়রায়েলের একটি জাহাজ লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চলে। সেটিও ভারতের দিকেই এগোচ্ছিল। আমেরিকা ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছিল। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর লোহিত সাগরে আক্রান্ত হল ভারতীয় ট্যাঙ্কার। আমেরিকার সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ লোহিত সাগরে টহল দিচ্ছিল আমেরিকার একটি জাহাজ। দু’টি জাহাজ ওই টহলরত জাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায়, তারা আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একটি জাহাজে ছিল নরওয়ের পতাকা। রাসায়নিক ছিল তাতে। দ্বিতীয়টি ছিল ভারতের অপরিশোধিত তেলের ট্যাঙ্কার।
আমেরিকা আরও দাবি করেছে, এর আগে চারটি ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে তাদের সেনা। ওই ড্রোনগুলি হুথি অধিকৃত এলাকা থেকে ছোড়া হয়েছে। আমেরিকার অভিযোগ, হুথিদের হাত শক্ত করেছে ইরান। তাদের সমর্থন করছে। ইজ়রায়েল-হামাস যুদ্ধের পর থেকে লোহিত সাগরে ড্রোন হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। নেপথ্যে রয়েছে ওই হুথি-গোষ্ঠীই। হুথি জানিয়েছে, ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হামাসের পক্ষে রয়েছে তারা। সে কারণে ইজ়রায়েলের সঙ্গে যোগ রয়েছে, এমন দেশের বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা চলবে। রয়টার্সের তরফে জানানো হয়েছে, হুথির এই হুঁশিয়ারির কারণে ঘুরপথে আফ্রিকার দক্ষিণ দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে ইজ়রায়েলের বাণিজ্যিক জাহাজ। হোয়াইট হাউস স্পষ্টই এর নেপথ্যে ইরানের ‘যোগ’ দেখেছে। ইরানের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ রেজ়া নাকদি পাল্টা হুমকি দিয়ে জানিয়েছেন, গাজ়ায় আমেরিকা এবং তার জোটসঙ্গীরা ‘অপরাধ’ বন্ধ না করলে ভূমধ্যসাগর, জিব্রাল্টার প্রণালী দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হবে।