কাশ্মীর উপত্যকায় দিনের বেলায় লোক চলাচলে কোনও বিধিনিষেধ নেই। পথেঘাটে যানবাহন কম হলেও চলছে। গুজব ও হিংসা ছড়ানো রুখতে মোবাইল ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ল্যান্ডলাইন ফোন চালু রয়েছে। তা সত্ত্বেও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের অন্যতম ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী এলিজাবেথ ওয়ারেন আজ বিবৃতি দিয়েছেন,
‘‘৫ অগস্টের পর থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ। টানা নিষেধাজ্ঞা চলছে। কাশ্মীরের ঘটনাবলি নিয়ে আমরা গভীর উদ্বিগ্ন। কাশ্মীরিদের অধিকারকে মর্যাদা দেওয়া উচিত।’’ গত সপ্তাহে একই ধরনের মন্তব্য করেছেন ওই দলেরই অন্যতম নেতা বার্নি স্যানডার্স।
কূটনীতিকদের মতে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গোড়া থেকেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপরে আস্থা রেখেছে। মোদীও সে দেশে গিয়ে স্লোগান দিয়ে এসেছেন, ‘‘আরও এক বার ট্রাম্প সরকার।’’ এতেই বেজায় চটেছে ডেমোক্র্যাটরা।
গত কাল ডেমোক্র্যাট সেনেটর ক্রিস ভ্যান হলন অভিযোগ করেছেন, ভারতে গিয়েও তিনি কাশ্মীরে যাওয়ার অনুমতি পাননি। তিনি কটাক্ষ ছুড়েছেন, ‘‘ভারত সরকারের যদি কাশ্মীর নিয়ে লুকোনোর কিছু না-থাকে, তা হলে নিজের চোখে যাঁরা কাশ্মীরের অবস্থা দেখতে চাইছেন, তাঁদের নিয়ে দুশ্চিন্তারও কিছু নেই।’’