প্রতীকী ছবি।
তিনি একজন শান্তশিষ্ট, পত্নীনিষ্ঠ ভদ্রলোক। কিন্তু পত্নীর এমন পতি নাপসন্দ। তিনি চান ঝগড়ুটে স্বামী! তাই এমন ভাল মানুষ স্বামীর ঘর আর তিনি করতে চান না।
এই উলটপুরাণ উত্তরপ্রদেশে। ১৮ মাস হল সম্ভলের বাসিন্দা ওই মহিলার বিয়ে হয়েছে। এর মধ্যেই স্বামীর অতিরিক্ত ভালবাসায় ‘অতিষ্ঠ’ হয়ে শরিয়া আদালতে ডিভোর্সের আবেদন জানান স্ত্রী! স্বামীর ‘অপরাধ’? তিনি খুব শান্তশিষ্ট! বড্ড ভাল মানুষ! একদম ঝগড়া করতে পারেন না! এমন আর্জি দেখে হতবাক আদালত। স্ত্রীর আবেদন অবশ্য খারিজ হয়ে গিয়েছে। শরিয়া আদালতের মতে, মহিলা অবুঝের মতো আচরণ করছেন।
এর পরেও মহিলা যে ‘বুঝদার’ হয়ে উঠেছেন, এমন নয়। এই একই আবেদন নিয়ে এর পরে তিনি হাজির হন স্থানীয় পঞ্চায়েতের কাছে। এমন আশ্চর্য আর্জি শুনে পঞ্চায়েতও থ। এই বিষয়ের নিষ্পত্তি তাদের পক্ষেও করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েতও।
আরও পড়ুন: ‘উচ্চবর্ণের’ বাড়ি থেকে ফুল পেড়ে একঘরে দলিতেরা
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই মোদীর জন্য ‘এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ান’
স্বামীর বিরুদ্ধে মহিলার অভিযোগ কী? সম্প্রতি আদালতে করা আর্জিতে মহিলা জানিয়েছেন, স্বামীর এই অতিরিক্ত ভালবাসা তাঁর হজম হচ্ছে না। স্ত্রীর কথায়, ‘‘আমার স্বামী আমার উপরে কখনও চিৎকার করেন না। বিরক্ত হন না। কখনও কখনও তিনি আমার জন্য রান্না করেন। বাড়ির কাজেও আমাকে সাহায্য করেন। আমি কোনও ভুল করলেও আমার স্বামী আমাকে সব সময় ক্ষমা করে দেন। আমি তর্ক-ঝগড়া করতে চাই। কিন্তু তিনি কখনও আমার সঙ্গে ঝগড়া করেন না। আমি এমন দাম্পত্য চাই না। এমন পরিবেশে আমার দমবন্ধ হয়ে আসছে। তাই আমি স্বামীর থেকে আলাদা হতে চাই।’’ বিচ্ছেদ চাওয়ার আর কি কোনও কারণ আছে? মহিলার উত্তর, ‘‘না।’’
আর শান্তশিষ্ট, পত্নীনিষ্ঠ ভদ্রলোক কী বলছেন? তিনি জানিয়েছেন, বৌকে তিনি সব সময় খুশি রাখতে চান। তাই এমন ব্যবহার করেন। সংসার বাঁচাতে স্ত্রীর আর্জি খারিজ করার জন্য শরিয়া আদালতের কাছে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। আদালত ওই দম্পতিকে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেছে।
বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার সময় এ বার হয় তো স্ত্রীর সঙ্গে একটু-আধটু ঝগড়া করবেন স্বামী। এখন তিনি নিশ্চয় বুঝে গিয়েছেন, অতিরিক্ত ভালবাসাও ভাল না।