—প্রতীকী চিত্র।
বাড়ি ফাঁকা ছিল। সেই সুযোগে বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন প্রতিবেশী যুবক। এমনটাই অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের ২০ বছরের তরুণীর। ওই ঘটনার পর লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। শৌচাগারে গিয়ে খেয়ে ফেলেছিলেন ‘টয়লেট ক্লিনার’। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কনৌজ জেলার। পুলিশ জানিয়েছে, গত ১১ জুলাই নির্যাতিতার বাবার কাছ থেকে অভিযোগ পায় তারা। তার আগেই অবশ্য হাসপাতাল থেকে তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টার কথা জানতে পেরেছিল পুলিশ। হাসপাতালে গিয়েই তরুণীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, এক প্রতিবেশী যুবক ৯ তারিখ রাতে তাঁর বাড়িতে ঢুকেছিলেন। তখনই তাঁকে ধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। তরুণী এবং তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৯ তারিখের ঘটনার পরের দিন ‘টয়লেট ক্লিনার’ খেয়েছিলেন তরুণী। তাঁর পরিবারের লোকজন অবিলম্বে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তরুণী এখনও অসুস্থ। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ধর্ষণের পর সমাজের সমালোচনা এড়াতেই এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবারও।
কনৌজের এসএসপি অমিত কুমার আনন্দ এই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘’১১ জুলাই আমাদের কাছে খবর আসে, এক তরুণী ‘টয়লেট ক্লিনার’ খেয়ে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং তরুণীর অভিযোগ নথিভুক্ত করি। তার পর অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়। অভিযুক্ত ওই তরুণীর গ্রামেই থাকেন। তাঁদের মধ্যে আগে থেকে কোনও সম্পর্ক ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’