—প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে স্বামীর অবর্তমানে ধর্ষণ করেছিলেন শ্বশুর। স্বামী বাড়ি ফেরার পর স্বামীর কাছে সেই অভিযোগই করেছিলেন নির্যাতিতা। কিন্তু এই কথা শোনার পরেই ‘অশুচি’ স্ত্রীকে পরিত্যাগ করেন স্বামী। বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করেন। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর এক মহিলা পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন যে, ৫ অগস্ট তাঁর স্বামী যখন বাড়িতে ছিলেন না, সেই সময় তাঁকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর। বাধা দিতে গেলে মারধরও নাকি করা হয়। পরে স্বামী বাড়ি ফিরে এলে সবটা জানান নির্যাতিতা। কিন্তু নিজের বাবার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মেনে নিতে পারেননি নির্যাতিতার স্বামী। স্ত্রীকে ‘অশুচি’ বলে বাড়ি থেকে বার করে দেন স্বামী।
২৬ বছর বয়সি নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, গত বছর তাঁর বিবাহ হয়েছিল। তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ জানিয়েছে, উপযুক্ত ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নির্যাতিতার বয়ান নথিবদ্ধও করা হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত শ্বশুর যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, টাকা আদায় করতেই এ সব মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের জুন মাসে অনুরূপ একটি ঘটনায় অভিযুক্ত শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে নির্যাতিতাতে স্বামীর থেকে আলাদা থাকার নিদান দেওয়া হয় এবং স্বামীকে সন্তানের চোখে দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়!