বিদ্যুৎ পেল উত্তরপ্রদেশে গ্রাম। ছবি: সংগৃহীত।
‘অন্ধকার যুগ’ কাটিয়ে উঠে এ বার আলোর মুখ দেখল উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রাম। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর গত বুধবার বিদ্যুৎ পৌঁছেছে ওই গ্রামে। আলো জ্বলতেই খুশির জোয়ারে ভাসলেন গ্রামবাসীরা।
গোন্ডা জেলার আধিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম রামগড়। এই গ্রামে বনটাঙ্গিয়া উপজাতিরা থাকেন। দেশের পিছিয়ে পড়া জনজাতি গ্রামগুলির মধ্যে অন্যতম এই রামগড় গ্রাম। কয়েক দশক ধরে তাঁরা বিদ্যুতের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হল তাঁদের।
রামগড় গ্রামের প্রধান ধনীরাম এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “অবশেষে বিদ্যুৎ পৌঁছল আমাদের গ্রামে। আমাদের কাছে বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়টি স্বপ্নের মতো ছিল। অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।” এর জন্য গোন্ডার জেলাশাসকেরও অনেক অবদান আছে বলেও জানিয়েছেন ধনীরাম। তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রামগড় গ্রামের প্রধান।
রামগড়ে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গ্রামেরই এক বাসিন্দা ফুলদেবী। তাঁর কথায়, “গ্রামে বিদ্যুৎ আসায় আমরা স্বস্তি পেলাম। সূর্য ডুবলেই অন্ধকারে ডুবে যেত গোটা গ্রাম। রাতে বেরোতেও ভয় লাগত। পশুদের হামলারও ভয় ছিল। অন্ধকারে যাতায়াত করা আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অবশেষে সেই দুর্দশা কাটল।”
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে বন দফতরের রাস্তায় আলোর ব্যবস্থা করা হয়। তার পর সেখান থেকে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছনো হয়েছে। এখনও কিছু অংশে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। খুব শীঘ্রই সে কাজও সম্পন্ন করা হবে। জেলাশাসক নেহা শর্মা বলেন, “গোন্ডার হরদ্বা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রামগড় গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এত দিন উন্নয়নের মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল গোটা গ্রাম। আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে উন্নয়নের যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, সেই তালিকায় বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ ছিল। অবশেষে বিদ্যুৎ পেল রামগড় গ্রাম।” শহরের সঙ্গে যাতে সহজে যোগাযোগ করা যায় তাই সম্প্রতি ১৮ কিলোমিটার সড়কও নির্মাণ করা হয়েছে রামগড়ে।