ছবি পিটিআই।
ছ’বছর আগে মারা গিয়েছেন তিনি। কিন্তু অতি সম্প্রতি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী প্রতিবাদ-বিক্ষোভে তিনি শামিল ছিলেন, এই মর্মে তাঁর বাড়িতে নোটিস পাঠিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ। যা দেখে বিপাকে পড়েছেন প্রয়াত বান্নে খানের পরিবারের সদস্যেরা। সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে গত কয়েক সপ্তাহ উত্তাল উত্তরপ্রদেশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছেন, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের খুঁজে বার করে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে। পুলিশ অন্তত ২০০ জন বিক্ষোভকারীকে শনাক্ত করে তাঁদের বাড়িতে নোটিস পাঠাচ্ছে।
ফিরোজ়াবাদের বাসিন্দা বান্নের পরিবারের সদস্যেরা এই নোটিস পেয়ে স্তম্ভিত। বান্নে মারা গিয়েছেন ছ’বছর আগে। তাঁর ছেলে মহম্মদ সরফরাজ় খান জানালেন, নোটিসে লেখা রয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৭ ও ১১৬ ধারায় তাঁর বাবার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রটের সামনে তাঁকে অবিলম্বে হাজিরা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে নোটিসে। জামিন পেতে গেলে দিতে হবে ১০ লক্ষ টাকা। তাঁর বাবা ছ’বছর আগে মারা গিয়েছেন, পুলিশকে এ কথা জানিয়ে মৃত্যুর শংসাপত্র দেখিয়েছিলেন সরফরাজ়। তাঁর অভিযোগ, এর পরে উল্টে পুলিশ অফিসারেরা তাঁকে বকাবকি করেন।
নব্বই পেরোনো একাধিক বৃদ্ধের বাড়িতে এই ধরনের হাজিরা নোটিস পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৯০ বছরের সুফি আনসার হুসেন। ৫৮ বছর ধরে জামা মসজিদের দেখভাল করেছেন তিনি। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধেও। তালিকায় রয়েছে ৯৩ বছরের সমাজকর্মী ফাসাহাত মির খানের নামও।