অর্চনা জয়ন্ত। ঝাঁসির এই পুলিশকর্মীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
ছবিটা ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছিল সহানুভূতির ঢেউ।
ছবিতে দেখা গিয়েছিল, পুলিশের উর্দি পরা এক মহিলা চেয়ারে বসে একটি খাতার উপর কিছু লিখছেন। তাঁর ঠিক সামনেই রয়েছে উঁচু একটা টেবিল। আর সেই টেবিলের উপরে শোয়ানো রয়েছে একটি শিশু।
ছবিটা ছিল ঝাঁসির কোতয়ালি থানার এক মহিলা কনস্টেবলের। নাম অর্চনা জয়ন্ত। ঝাঁসির ওই ‘মম কপ’ একই সঙ্গে যে ভাবে সরকারি দায়িত্ব এবং শিশুর দেখভাল করছেন, তা দেখে অনেকে কমেন্ট করেছিলেন। লিখেছিলেন, শিশুটিকে ভালভাবে লালন-পালন করার জন্য বাড়ির কাছাকাছি কোথাও বদলি করা উচিত ওই মহিলা কনস্টেবলকে।
সাধারণ মানুষের সেই আবেদন সাড়া দিলেন উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিংহ। টুইট করে জানালেন অর্চনাকে বাড়ির কাছাকাছি বদলি করার কথা। সোমবার সকালেই অর্চনাকে আগ্রায় বাড়ির কাছাকাছি এক থানায় বদলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অর্চনাকে তাঁর কাজের প্রতি নিষ্ঠার জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন ডিজিপি।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে ঝাঁসির ‘মাদার কপ’ অর্চনার এই ছবি
আগরার বাসিন্দা অর্চনা। কর্মসূত্রে তিনি এখন ঝাঁসিতে। স্বামী ও পরিবার রয়েছে আগরাতেই। অর্চনার মাস ছয়েকের কন্যাসন্তান রয়েছে। নাম অনিকা। তাঁকে নিয়েই ঝাঁসিতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। পরিবার-পরিজন কাছে না থাকায় সন্তানকে দেখভালের বিষয়টি পুরোপুরি তাঁর উপরই। সঙ্গে পুলিশের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ফলে দুটো সামলানো অর্চনার কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ফরাসি ছাত্রীর যৌন নিগ্রহ করলেন আশ্রয়দাতা পড়ুয়ার বাবা
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্চনা বলেছিলেন, ‘‘সমস্যা তো হয়ই। কিন্তু আমার কাছে দু’টোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের দেখাশোনাও করি।’’ তাই তিনি যখন কাজে আসেন সঙ্গে নিয়ে আসেন অনিকাকেও। যাতে অনিকার দেখভাল এবং থানার কাজকর্ম একই সঙ্গে সামলানো যায়।
এত দিন কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করেও দফতর থেকে যে সুবিধা পাননি, সোশ্যাল মিডিয়ার বিপুল চাপ কি সেই দফতরকেই নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করল, বিতর্ক এখন তা নিয়েই।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)