পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার আগে চলছে তল্লাশি। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশে ৬০ হাজারেরও বেশি কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য চলছে পরীক্ষা। আর তাতেই ২৩ অগস্ট প্রথম দিনের পরীক্ষার পর দেখা গেল, কড়াকড়ির কারণে তিন লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতেই আসেননি! নকল করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন চার জন। পরীক্ষার প্রথম দিনেই সারা রাজ্য জুড়ে দেখা গেল একই চিত্র।
আগামী ৩১ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশের চাকরির পরীক্ষা চলবে উত্তরপ্রদেশে। ২৩ ছাড়াও ২৪, ২৫, ৩০ এবং ৩১ তারিখ ওই পরীক্ষা রয়েছে। এখন নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করাই রাজ্য সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড প্রমোশন বোর্ড (ইউপিপিআরপিবি)।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, প্রথম দিনের পরীক্ষার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছিলেন প্রায় ন’ লাখ ৬০ হাজার পরীক্ষার্থী। প্রবেশপত্র ডাউনলো়ড করেছিলেন ৮ লাখ ১৯ হাজার ৬০০ জন। কিন্তু আদতে পরীক্ষা দিয়েছেন মাত্র ছ’লাখ পরীক্ষার্থী। অর্থাৎ প্রায় ৩২ শতাংশ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত! মনে করা হচ্ছে, পরীক্ষায় কড়াকড়ি বৃদ্ধির কারণেই কমেছে উপস্থিতির হার।
প্রথম দিনের পরীক্ষায় রাজ্যের বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র মিলিয়ে মোট ৬১ জন সন্দেহভাজনকে ধরা হয়। নথিপত্র মিলিয়ে দেখে শেষ পর্যন্ত তাঁদের পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে নকল করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন তিন জন। মহারাজগঞ্জ, রায়বরেলী এবং কানপুরের ওই তিন পরীক্ষার্থী লুকিয়ে মোবাইল বা অন্যান্য বৈদ্যুতিন যন্ত্র নিয়ে পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন। এ ছাড়া বয়স ভাঁড়িয়ে পরীক্ষা দিতে আসার অভিযোগে কানপুরে গ্রেফতার হয়েছেন আরও এক জন। এ ছাড়াও গোরখপুরে প্রশ্নপত্র বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে এক মহিলা কনস্টেবল ও তাঁর সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগেই পুলিশের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশে। সেই ঘটনায় নানা প্রশ্ন এবং অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়। সেই পরীক্ষাই ফের নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। তাই এ বার আরও সতর্ক প্রশাসন। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নজরদারিও।