গত ১৮ মার্চ থেকে পলাতক খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহ। ছবি: পিটিআই।
খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংহের আত্মসমর্পণ করা উচিত নয়, বরং পাকিস্তানে পালিয়ে গিয়ে সেখানে আশ্রয় নেওয়া উচিত। অমৃতপালকে নিয়ে যখন পঞ্জাব পুলিশের ঘুম উড়েছে, ঠিক সেই সময় এমন মন্তব্য করে বিতর্ক উস্কে দিলেন শিরোমণি অকালি দল (অমৃতসর)-এর প্রধান তথা সাংসদ সিমরনজিৎ সিংহ মান। তাঁর কথায়, “অত্মসমর্পণ না করে ইরাবতী নদী পেরিয়ে পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া উচিত অমৃতপালের।”
এ কথা বলতে গিয়ে ১৯৮৪ সালের প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন অকালি প্রধান। তাঁর কথায়, “১৯৮৪ সালে আমরাও পাকিস্তানে গিয়েছিলাম, তাই নয় কি? সেই ইতিহাসকে ‘সাক্ষী’ রেখেই পাকিস্তানে পালানো উচিত অমৃতপালের। কারণ ওঁর জীবন এখন বিপন্ন। আর সরকারও আমাদের ‘দমিয়ে’ রাখার চেষ্টা করছে।”
পঞ্জাব পুলিশ যখন খলিস্তানি নেতাকে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, সেই সময় অকালি প্রধানের এই মন্তব্য শোরগোল ফেলে দিয়েছে। অমৃতপাল আত্মসমর্পণ করবেন, না কি করেবেন না, এই নিয়ে যখন জোর জল্পনা চলছিল, সেই সময়েই গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, বৈশাখীর সন্ধ্যায় অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন খলিস্তানি নেতা। আর তার পর পরই অকালি প্রধানের এই মন্তব্য বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।
যদিও অমৃতপালের তরফে বা তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে আত্মসমর্পণের কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। তিনি আত্মসমর্পণ করতে চলছেন, এই জল্পনা যখন তুঙ্গে, একটি ইউটিউব ভিডিয়োতে অমৃতপাল বার্তা দিয়েছেন, আত্মসমর্পণ করার কোনও প্রশ্নই নেই। গত ১৮ মার্চ থেকে পলাতক অমৃতপাল। গত ১২ দিন ধরে তাঁর পিছু ধাওয়া করে চলেছে পুলিশ। অমৃতপালকে কখনও হরিয়ানায়, কখনও দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, কখনও আবার পঞ্জাবে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই-ই নয়, পুলিশের সামনে দিয়ে বার দুয়েক পালাতেও সক্ষম হয়েছেন তিনি।