National News

‘কুকুরের কামড়ে মৃত্যু হলে তার দায় সরকারের?’, বিতর্কে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী

তিনি বলেন, “কোনও পশু যদি কোথাও ঢুকে পড়ে এবং কাউকে কামড়ায়, এর দায় কেন সরকার ও প্রশাসন নেবে?” তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজ্য-রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৮ ১৫:৫২
Share:

উত্তরপ্রেদেশের নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুরেশ কুমার খন্না।

কোনও পশুর কামড়ে মৃত্যু হলে তার দায়ও কি সরকারকে নিতে হবে? সীতাপুরে কুকুরের কামড়ে মৃত্যু প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়লেন উত্তরপ্রদেশের নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সুরেশ কুমার খন্না।

Advertisement

তিনি বলেন, “কোনও পশু যদি কোথাও ঢুকে পড়ে এবং কাউকে কামড়ায়, এর দায় কেন সরকার ও প্রশাসন নেবে?” তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজ্য-রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

সীতাপুরের খইরাবাদ ব্লকের ২২টি গ্রামে কুকুর উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসীরা। রাস্তায় বেরোলেই কুকুরের হামলার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। আতঙ্কে গ্রামবাসীরা রাস্তায় বেরোতে পারছেন না। কুকুরের হামলায় মৃত্যু হয়েছে বেশে কয়েক জনের। এ মাসেই সীতাপুরে এক শিশু-সহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ছ’মাসে সীতাপুর এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় কুকুরের কামড়ে মারা গিয়েছেন ১৪ জন। দ্রুত যাতে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয় তার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশও দেয় ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশ পেয়েই তড়িঘড়ি আসরে নামে রাজ্য ও জেলা প্রশাসন।

Advertisement

আরও পড়ুন: আগামী ২০ বছর আমিই দলের সভাপতি থাকব, ঘোষণা মায়াবতীর

আরও পড়ুন: ‘বাবারা একটু খেয়ে গেলে না? পাপ দেবে ঠাকুর!’

গত ১৮ মে সীতাপুর এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কুকুরের হামলায় আহত পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে তিনি একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। আদিত্যনাথ আশ্বাস দেন, পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতর, নগরপালিকা এবং নগর পঞ্চায়েত থেকে একটা যৌথ দল গঠন করা হবে। লখনউ ও বরেলী থেকে বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়ে তদন্ত করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা পাওয়ার পরই কুকুর ধরতে নেমে পড়ে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, কুকুর ধরতে ড্রোন এবং নাইট ভিশন বাইনোকুলার ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ২২টি কুকুর ধরা পড়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement