Uttar Pradesh Police Encounter

উত্তরপ্রদেশে ফের মৃত্যু ‘এনকাউন্টারে’! কনস্টেবলকে হামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি গুলির লড়াইয়ে হত

পুলিশ জানিয়েছে, গত মাসে অযোধ্যার কাছে চলন্ত সরযূ এক্সপ্রেসে এক মহিলা কনস্টেবলের উপর হামলা চালায় এনকাউন্টারে হত ওই ব্যক্তি। তার পর থেকেই ওই ব্যক্তিকে খুঁজছিল পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

লখনউ শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১১:৩০
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

উত্তরপ্রদেশে পুলিশি এনকাউন্টারে আবারও নিহত হলেন অভিযুক্ত এক ব্যক্তি। গত মাসেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এক মহিলা কনস্টেবলের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। তার পরেই তাঁকে খুঁজছিল পুলিশ। শুক্রবার সকালে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই (এনকাইন্টার)-এ মৃত্যু হল অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি আনিস খানের। তাঁর দুই সঙ্গীও এনকাউন্টারে গুরুতর জখম হয়েছেন বলে শুক্রবার সকালে জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ওই দু’জনকে পরে অযোধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, গত মাসে অযোধ্যার কাছে চলন্ত সরযূ এক্সপ্রেসে এক মহিলা কনস্টেবলের উপর হামলা চালায় এনকাউন্টারে হত আনিস। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলা কনস্টেবলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলেও আনিসের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার পরেই তাঁর সন্ধানে তল্লাশি শুরু করা হয়।

হাসপাতালে আহত এক পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে পুলিশের হাতে ধরা পড়বার আগে গুলি চালাতে শুরু করেন আনিস। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। অযোধ্যা পুলিশের অন্যতম শীর্ষ পদাধিকারী রাজ করণ নায়ার এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, আক্রান্ত পুলিশ কনস্টেবল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করার পরে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। অযোধ্যা পুলিশ এবং বিশেষ টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে অভিযুক্তদের গুলি বিনিময় চলাকালীন অভিযুক্ত গুরুতর জখম হন বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা। কিছু সময় পরেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

পুলিশকর্তা এ-ও জানান যে, অভিযুক্ত আনিসকে আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হলেও, সেই অনুরোধ তিনি মানেননি। উল্টে গুলি চালাতে শুরু করেন। পাল্টা গুলি চালাতে ‘বাধ্য’ হয় পুলিশও। তাঁর দুই সঙ্গী পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের সামনেই ‘গ্যাংস্টার’ আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফ আহমেদকে গুলি করে হত্যা করে আততায়ীরা। চিৎকার করে স্লোগানও দেয়। ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই দৃশ্য। বিচারাধীন বন্দিকে পুলিশের সামনেই হত্যা করা নিয়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে সারা দেশে। আতিক-হত্যা উত্তরপ্রদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়। তাঁর মতো ‘হাই প্রোফাইল’ বন্দিকে পুলিশের চোখের সামনেই কী ভাবে স্লোগান দিতে দিতে খুন করা হল, সেই প্রশ্নও ওঠে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement