যোগী আদিত্যনাথ। —ফাইল চিত্র।
দু’টি উপনির্বাচনে পরাজয়ের দিনেই, যোগী আদিত্যনাথ সরকারের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল কেন্দ্রীয় রিপোর্ট। আজ রীতিমতো তথ্য দিয়ে কেন্দ্র সংসদে জানিয়েছে, গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক অশান্তি ও জেল হাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে যোগীর রাজ্যেই। ভুয়ো সংঘর্ষে মৃত্যুতেও এক নম্বরে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ।
ঘটনাচক্রে দেশের সাম্প্রদায়িক অশান্তি এবং বিশেষত উত্তরপ্রদেশের ছবিটি কী, প্রশ্ন করেছিলেন রাজ্যসভা সাংসদ নরেশ অগ্রবাল। তখন তিনি ছিলেন সমাজবাদী পার্টিতে। আজ লিখিত জবাব আসে রাজ্যসভায়। মাঝে যমুনা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। সপা থেকে টিকিট না পেয়ে দু’দিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন নরেশ। সুতরাং নিজের প্রশ্নে এখন নিজের দলকেই অস্বস্তিতে ফেলেছেন তিনি। লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক স্বীকার করেছে, ২০১৬ সালে উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ১৬২টি ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৫-তে। সার্বিক ভাবেই গত বছরে দেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬য় দেশে ৭০৩টি ঘটনা ঘটে, ২০১৭ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৮২২। অশান্ত পশ্চিমবঙ্গও। ২০১৭ সালে রাজ্যে ৫৮টি সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছে। তার আগের বছর ওই সংখ্যাটি ছিল ৩২।
উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় এসেই অপরাধী দমন অভিযানে নেমেছিল আদিত্যনাথের পুলিশ। আজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি ভুয়ো সংঘর্ষে মৃত্যুর (৬টি) ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশেই। পুলিশ হেফাজতে ও জেলে বন্দি অবস্থায় মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৯ ও ৩৬৫ জন। দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যে বন্দি অবস্থায় মারা গিয়েছেন ১২৭ জন ও পুলিশি হেফাজতে ৫ জন।