যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।
গোরক্ষপুর এবং ফুলপুর উপনির্বাচনে বিজেপি হেরে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আমলাস্তরে বড়সড় রদবদল করল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। ১৬ জেলাশাসক-সহ মোট ৩৭ জন আইএএস অফিসারকে বদলি করে দেওয়া হল।
রদবদলের এই ঘটনায় সে রাজ্যে আমলাদের একটা অংশের মধ্যে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর সংসদীয় এলাকা অমেঠীর জেলাশাসককে যেমন বদলি করা হয়েছে, সেরকমই বরেলীর ‘বিতর্কিত’ জেলাশাসক রাঘবেন্দ্র সিংহকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বেড়ে যাচ্ছে, এই অভিযোগ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সরব ছিলেন তিনি। অনেকের মতে, দক্ষতা নয়, আনুগত্য না দেখালে যখন তখন যে বদলি করা হবে, রাঘবেন্দ্রর মতো দক্ষ জেলাশাসককে সরিয়ে সে বার্তাটা দিয়ে রাখলেন আদিত্যনাথ যোগী। তবে সরকারের দাবি, এটা রুটিন বদলি।
যাঁদের বদলি করা হয়েছে, তাঁরা যে সবাই যোগীর রোষের শিকার, তা নয়। যেমন গোরক্ষপুরের জেলাশাসক রাজীব রাউতেলা। যোগীর পাঁচ বারের জেতা গোরক্ষপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপি যখন নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে, সে সময় সাংবাদিকদের তিনি বেশ কিছু ক্ষণের জন্য গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে দেননি। সেই ঘটনার পর কার্যত পুরস্কৃত হলেন রাজীব। তাঁকে জেলাশাসক পদ থেকে পদোন্নতি ঘটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেবীপতনের ডিভিশ্যনাল কমিশনার পদে।
আরও পড়ুন: সনিয়া বললেন ড্রামাবাজি, বিদ্বেষের কারবারি বললেন রাহুল