চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে দলিত এবং মুসলিমদের অভাব-অভিযোগ, দুর্দশা নিয়ে প্রচার করা হয়নি। এ ছাড়া একেবারে শেষ মুহূর্তে টিকিট বণ্টন হয়েছে।’
মাসুদ আহমেদ।
বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদ ছাড়লেন রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি)-র উত্তরপ্রদেশের সভাপতি মাসুদ আহমেদ। গত কাল তিনি দলের প্রধান জয়ন্ত চৌধরির কাছে তাঁর পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। ইস্তফা পত্রে তিনি অভিযোগ করেছেন, ভোটে দলের টিকিট ‘বিক্রি’ করা হয়েছে এবং ‘দলিত ও মুসলিমদের স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছে’।
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র সঙ্গে জোট করে ভোটে লড়েছিল আরএলডি। তারা আটটি আসনে জয়ী হয়েছে। দলের এই হতাশাজনক ফলের জন্য নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মাসুদ। দলের প্রধান জয়ন্ত চৌধরিকে লেখা ইস্তফাপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, নির্বাচনে ভোটের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। এমন লোকজনকে প্রার্থী করা হয়েছিল, যাঁরা টিকিট পাওয়ার যোগ্য নন। তিনি লিখেছেন, ‘এই বিষয়টি আগামী দিন দলে এবং জোটের নেতৃত্ব গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। যাতে আগামী নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে উত্তরপ্রদেশে সরকার গঠন করতে পারে। এসপি এবং আরএলডি কর্মীদের উচিত ছিল ভোটে এক জোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা। কিন্তু তাঁরা টিকিটের জন্য নিজেদের মধ্যে লড়াই করেছে’।
এখানেই শেষ নয়। এসপি এবং আরএলডি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাসুদ। তাঁর অভিযোগ, দুই জোট শরিক নেতৃত্বের মানসিকতা ‘একনায়কতন্ত্রী’দের মতো। যে কারণে ভোটে পরাজিত হতে হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথের আমলে দলিত এবং মুসলিমরা দারুণ ভাবে অত্যাচারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মাসুদ। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে দলিত এবং মুসলিমদের অভাব-অভিযোগ, দুর্দশা নিয়ে প্রচার করা হয়নি। এ ছাড়া একেবারে শেষ মুহূর্তে টিকিট বণ্টন হয়েছে।’