প্রাচী নিগম। ছবি সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের দশম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে চর্চায় উঠে এসেছে প্রাচী নিগম। কঠোর অধ্যবসায়, দিনরাতের পরিশ্রম করে পাওয়া সাফল্য। কিন্তু নেটাগরিকদের একাংশের মধ্যে সেই সাফল্যের গল্প নিয়ে যতটা না উৎসাহ, তার থেকেও বেশি আলোচনা চলছে প্রাচীর মুখে চুলের আধিক্য নিয়ে। দেদার ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয় থাকে। তবে এই সব মানুষের ‘নিম্ন রুচি’ সম্পন্ন মানসিকতা নিয়ে সমাজমাধ্যমেই সরব হয়েছেন অনেকে।
শনিবার উত্তরপ্রদেশ বোর্ডের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির ফলপ্রকাশ হয়। সে রাজ্যে এ বার মাধ্যমিকে ৯৮.৫ শতাংশ পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে প্রাচী। সীতাপুরের বাসিন্দা প্রাচী ৬০০-র মধ্যে পেয়েছে ৫৯১ নম্বর। প্রথম হয়ে নিজের উচ্ছ্বাস চেপে রাখেনি প্রাচী। তার কথায়, ‘‘আমি কখনই ভাবতে পারিনি বোর্ড পরীক্ষায় প্রথম হব। ভাল প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু প্রথম হব, সেটা আমার মাথায় ছিল না। আমি গর্বিত যে, আমার কঠোর পরিশ্রমের বৃথা যায়নি।’’
প্রাচী এই সাফল্য কী ভাবে পেল, তা নিয়ে যেমন আলোচনা শুরু হয়, তেমনই তার মুখে বেশি চুল কেন, সেই সব নিয়েও মজা করেন অনেকে। তবে তাঁদের পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করেন নেটাগরিকেরাই। এ হেন মজা একটা মানুষের উপর কতটা কুপ্রভাব ফেলতে পারে, তা-ও বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
কেউ ট্রোলারদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, কেউ কেউ আবার তাঁদের সমাজে ‘ক্ষতিকর’ বলেও উল্লেখ করছেন। এক জন লেখেন, ‘‘ট্রোলাররা দ্বিতীয় বারের জন্যও ভাবেন না যে তাঁরা কী এবং কাকে নিয়ে ট্রোল করছেন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আশা করি প্রাচীর চোখে এই সব ট্রোল পড়েনি। তা হলে সে মানসিক ভাবে প্রচণ্ড ধাক্কা খাবে।’’ আবার অনেকেই প্রাচীর শারীরিক সমস্যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারও কথায়, ‘‘শারীরিক সমস্যা থাকার পরেও প্রাচী যে ভাবে মানসিক শক্তি দেখিয়েছে, তা এক কথায় অসাধারণ। আমাদের উচিত তাঁকে সব সময় সমর্থন করা। যা আগামী জীবনে তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’’ রবিবার থেকেই এই সব সদর্থক কথাবার্তার ভিড়ে চাপা পড়ে গিয়েছে ট্রোলারদের মন্তব্য।