উত্তরপ্রদেশে ভোট ঘোষণার দিন কয়েক পরেই সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুলায়ম সিংহের ছোট ছেলের স্ত্রী অপর্ণা যাদব। ছবি: টুইটার।
খ্যাতনামী যে নেতারা বিজেপির টিকিটে উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে লড়তে পারবেন বলে আশা করেছিলেন, তাঁদের অনেকেই হতাশ হলেন। বুধবার উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের ন’জন বিধানসভা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় আশাবাদী ‘ওজনদার’দের অনেকেরই নাম নেই। মুলায়ম সিং যাদবের পুত্রবধূ অপর্ণা যাদব, যিনি তাঁর পুরনো দল সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং যিনি লখনউ ক্যান্টনমেন্ট থেকে বিজেপির প্রার্থী হবেন বলে ধরেই নিয়েছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ, তালিকায় তিনি জায়গা পাননি। একই ভাবে প্রার্থী করা হয়নি বিজেপি নেত্রী রীতা বহুগুণা জোশীর ছেয়ে ময়ঙ্ক জোশীকেও।
উত্তরপ্রদেশে ভোট ঘোষণার দিন কয়েক পরেই সমাজবাদী পার্টি (এসপি) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুলায়ম সিংহের ছোট ছেলের স্ত্রী অপর্ণা যাদব। তার আগে গত বিধানসভা নির্বাচনে এসপি-র টিকিটেই লখনউ ক্যান্টনমেন্টে প্রার্থী হয়েছিলেন অপর্ণা। সে বার বিজেপি প্রার্থী রীতা বহুগুণার কাছে তিনি পরাজিত হন। অপর্ণা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাই অনেকেই ভেবেছিলেন, তিনি প্রার্থী হচ্ছেনই। কিন্তু বাস্তবে তা হল না। অন্য দিকে পুত্র ময়ঙ্কের জন্য লখনউ ক্যান্টনমেন্টের টিকিটের জন্য দরবার করেছিলেন বিজেপির ওই আসনের আগের বারের জয়ী প্রার্থী রীতা। এমনকি দল একটি পরিবার থেকে এক জনকেই প্রার্থী করার নীতি নেওয়ার পর নিজের লোকসভা সদস্য পদটিও ছাড়তে চেয়েছিলেন রীতা। কিন্তু বিজেপি সেই অনুরোধও রাখেনি।
বদলে কাদের প্রার্থী করেছে বিজেপি? লখনউ ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রিজেশ পাঠক। এই আসনটি বিজেপির নিরাপদ আসন বলে পরিচিত। আরও একটি নিশ্চিত আসন সরোজিনী নগরে প্রার্থী করা হয়েছে প্রাক্তন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র কর্তা রাজেশ্বর রাওকে। যিনি দিন কয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র পূর্ব লখনউ এবং লখনউ সেন্ট্রালে প্রার্থী হয়েছেন যথাক্রমে রাজ্যের মন্ত্রী আশুতোষ টন্ডন এবং বিজেপির কাউন্সিলর রজনীশ গুপ্ত। প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে লখনউয়ের ন’টি আসনের মধ্যে আটটিতেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি।