এ বার প্রার্থী ঘোষণার পরে রটেছিল, সমাজবাদী পার্টির প্রধান লড়ছেন দু’জায়গা থেকে। পরে বোঝা যায়, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী শুধু করহলেই দাঁড়িয়েছেন। মুবারকপুরের অখিলেশ যাদব অন্য জন। অবধেশ, উমেশ, অমরেশের ছোট ভাই। গত বার ওই কেন্দ্রেই সাতশোরও কম ভোটে হারার আফশোস এখনও রয়েছে যাঁর।
ফাইল চিত্র।
তিনি অখিলেশ। কিন্তু অদ্বিতীয় নন। সমাজবাদী পার্টির প্রধানের তিন সমনামীও রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ভোটের ময়দানে। আর তাতে ভ্রান্তিবিলাস ঘটে চলেছে।
ক’দিন আগে প্রচার চলছিল বিকাপুরে। ‘‘অখিলেশ ভাইয়া...’’ স্লোগান শুনে সমাজবাদী পার্টির কিছু সমর্থক হেঁকে উঠেছিলেন—‘‘জিন্দাবাদ’’। র্যালি কাছে আসতে টনক নড়ে। দেখেন, তাঁদের সমর্থন বেহাত হচ্ছিল এত ক্ষণ!
এই অখিলেশ ভোট বৈতরণীতে সাইকেলে সওয়ার নন, কংগ্রেসের প্রার্থী! নিজেই সেই প্রসঙ্গ পেড়ে হেসে ওঠেন অযোধ্যা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অখিলেশ যাদব। বলেন, ‘‘অনেকেই হঠাৎ করে ভেবেছিলেন, আরে! সমাজবাদী পার্টির প্রতীকে হাত পড়ল কবে?’’ তবে, এক কালে তিনিও সমাজবাদী পার্টিতেই ছিলেন।
‘সম্মান না পেয়ে’ ২০১৬ সালে কংগ্রেসে যান।
সম্বল জেলার গুন্নৌর ভোট দিয়ে ফেলেছে। আপাতত প্রহর গুনছেন অখিলেশ যাদব, ওরফে লখবিন্দর সিং। ১৯৮৩ সালে জন্মের পরে নামকরণ হয়েছিল লখবিন্দর। কিন্তু ঠাকুমার দেওয়া অখিলেশ ডাকনামেই নামডাক তাঁর। সেই নামেই নির্দল হিসাবে মনোনয়নপত্র ভরেছেন। নির্দল নামেই! গুন্নৌরের অখিলেশ জোর গলায় বলেন, মুলায়ম-পুত্র তাঁর সব কিছু। বলেন, ‘‘সমাজবাদ আমাদের রক্তে বইছে। জিনে আছে বলতে পারেন।’’ তাঁর বাবা রামখিলাড়ি সিং গুন্নৌরেই সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী। আর তিনি ভোটে ‘ডামি’।
এ বার প্রার্থী ঘোষণার পরে রটেছিল, সমাজবাদী পার্টির প্রধান লড়ছেন দু’জায়গা থেকে। পরে বোঝা যায়, মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী শুধু করহলেই দাঁড়িয়েছেন। মুবারকপুরের অখিলেশ যাদব অন্য জন। অবধেশ, উমেশ, অমরেশের ছোট ভাই। গত বার ওই কেন্দ্রেই সাতশোরও কম ভোটে হারার আফশোস এখনও রয়েছে যাঁর।
তৃতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে করহলে। ৭ মার্চ, শেষ দফায়, ভোট মুবারকপুরে। সেখানকার সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী বলছেন, ‘‘লোকে চাইছে, এ বার অখিলেশ যাদব মুখ্যমন্ত্রী হোন, আর এই অখিলেশ যাদব মুবারকপুরের বিধায়ক।’’