UP Assembly Election 2022

UP Assembly Election 2022: উত্তরপ্রদেশে আসন্ন দ্বিতীয় দফায় কি বিপাকে বিজেপি

এই আসনগুলিতে মুসলমান এবং দলিত ভোটব্যাঙ্কের আধিক্য বেশি। এসপি এবং আরএলডি জোট এই অঞ্চলের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৪১
Share:

ফাইল চিত্র।

উত্তরপ্রদেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফার ৫৫টি আসনে ভোটের সম্ভাব্য ফলাফলের পূর্বাভাস রক্তচাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বের। এই আসনগুলিতে মুসলমান এবং দলিত ভোটব্যাঙ্কের আধিক্য বেশি। এসপি এবং আরএলডি জোট এই অঞ্চলের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে।

Advertisement

এটা ঠিকই যে গত বিধানসভা ভোটে এই অঞ্চলে বিজেপি রীতিমতো ভাল ফলাফল করেছিল। কিন্তু রাজ্যের রাজনৈতিক শিবির বলছে ১৭ এবং ২২শের ভোটচিত্রটা একেবারেই বদলে গিয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের মোরাদাবাদ, সহারনপুর, বিজনৌর, আমরোহা থেকে রাজ্যের মধ্যভাগে বদায়ুঁ বা শাহজাহানপুর পর্যন্ত বিস্তৃত এই ৫৫টি আসনে ২০১৭তে প্রবল মোদী হাওয়ার মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৩৮টি আসন। কিন্তু সেই ভোটবাজারেও এসপি-র ঘরে আসে ১৫টি আসন। কংগ্রেস পায় দু’টি। এখান থেকে মোট ১১ জন মুসলমান প্রার্থী জয়ী হন এসপি-র টিকিটে। তার আগের অর্থাৎ ২০১২-র বিধানসভা ভোটে এই অঞ্চল থেকে এসপি পায় ২৭টি আসন, বিএসপি ১৩টি। আবার ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এসপি, বিএসপি এবং আরএলডি একত্রে লড়াই করে। দেখা যাচ্ছে এই অঞ্চলের (যা অন্তত এখানকার ৩৫টি বিধানসভা অঞ্চলের সমষ্টি) ৭টি লোকসভা আসনই পেয়েছে বিএসপি এবং এসপি। যার মধ্যে রয়েছে রামপুর, মোরাদাবাদ, বিজনৌরের মতো আসন।

উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বারে এখানে বিজেপির দাঁত ফোটানো মুশকিল। এখানে মুসলিম এবং দলিতের পাশাপাশি ছড়ানো রয়েছে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির ভোটও। যেখানে এসপি-র শক্তি বেশি। মোরাদাবাদ জেলার ঠকুরদেওড়া এলাকার এসপি বিধায়ক নবাব জান বলছেন, “২০১৭ সালে একমাত্র এখানে বিজেপি ভাল ফল করে। কারণ সে সময়ে জোরালো মোদী হাওয়া চলছিল। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে মেরুকরণও সে বার ভাল করতে পেরেছিল বিজেপি। এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন। চাষিরা যোগী সরকারের উপর ক্ষিপ্ত। তাদের ফসল নষ্ট হচ্ছে, সরকার তা তুলছে না। আখের বকেয়া দামও দিচ্ছে না। থানায় মারাত্মক দুর্নীতি। সাধারণ মানুষ বিরক্ত। বেকারত্ব তো রয়েছেই।”

Advertisement

এসপি-র দুর্গ রামপুরেও ভোট ১৪ ফেব্রুয়ারি। সতেরো সালে এসপি নেতা আজম খান এই জেলা থেকেই অষ্টম বারের জন্য জেতেন। পরে অবশ্য পদত্যাগ করে উনিশের লোকসভা ভোটে তিনি রামপুর লোকসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেন। অন্য দিকে ৪২ শতাংশ মুসলমান ভোটব্যাঙ্ক সম্বলিত সহারনপুরে প্রভাবশালী মুসলমান নেতা ইমরান মাসুদ কংগ্রেস থেকে সম্প্রতি যোগ দিয়েছেন এসপি-তে। তাঁর যোগদান ওই এলাকায় এসপি-আরএলডি জোটকে শক্তিশালী করবে বলেই দাবি অখিলেশ শিবিরের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement