ওবিসি অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির প্রভাব অনেকটাই কমেছে। ভোটের মুখে দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন স্বামী প্রসাদ মৌর্য, দারা সিংহ চৌহানের মতো ওবিসি নেতা তথা যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার সদস্য।
ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন এখন কার্যত মাঝ পথে। প্রথম চার পর্বের ভোট শেষ। দ্বিতীয় ধাপে তিন দফায় ভোট রয়েছে পূর্ব উত্তরপ্রদেশ বা পূর্বাঞ্চলে। ভোট যুদ্ধের মাঝ পর্বেই দলের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতা অমিত শাহ। তাঁর দাবি, গত বারের মতোই মানুষ তাঁদের পাশে রয়েছেন। তাই ‘প্রচণ্ড বহুমত’ পাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। যা শুনে বিরোধীরা বলছেন, অতীতে দিল্লি কিংবা হালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার দাবি করে শেষে জয় অধরাই থেকে গিয়েছিল অমিত শাহদের। প্রশ্ন উঠেছে, এ ক্ষেত্রেও তাই হবে না তো!
আজ অমেঠির জনসভা থেকে চার পর্বেই দলের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তাঁর কথায়, ‘‘বিরোধীরা বলেছিল, এ বার বিজেপির কোনও অঙ্ক কাজ করবে না। কিন্তু চার পর্বের ভোটের পরে দেখা যাচ্ছে, বিরোধীদের গণিত গুলিয়ে গিয়েছে।’’ মোদীর দাবি, হার যে নিশ্চিত, সেই দেওয়াল লিখন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন বিরোধীরা। যদিও গোড়া থেকেই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে হওয়া দুই পর্বের ভোট নিয়ে চিন্তায় ছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের মতে, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে যে ভাবে মুসলিম-যাদবের সঙ্গে জাঠেরা বিজেপির বিরুদ্ধে হাত মিলিয়েছেন, তাতে ভাল ফল করা নিয়ে গোড়া থেকেই প্রশ্নচিহ্ন ছিল বিজেপির। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে শাহের দাবি, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে গত ভোটের মতোই ভাল ফল করতে চলেছে বিজেপি। তাদের বিরুদ্ধে যাদব-মুসলিমের সঙ্গে জাঠদের জোট বাঁধা প্রসঙ্গে শাহ বলেন, ‘‘মেরুকরণ কেবল এক তরফা হয় না। সংখ্যালঘুরা যদি জোট বাঁধে, তখন তার মোকাবিলায় এক জোট হন সংখ্যাগুরুরাও।’’ অমিত শাহ ওই দাবি করলেও বাস্তবে পূর্বাঞ্চলে ভোট এখনও বাকি রয়েছে। ওবিসি অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপির প্রভাব অনেকটাই কমেছে। ভোটের মুখে দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন স্বামী প্রসাদ মৌর্য, দারা সিংহ চৌহানের মতো ওবিসি নেতা তথা যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার সদস্য।