Uttar Pradesh

উন্নাও জেলে বন্দিদের হাতে থাকা পিস্তল ‘মাটি’র তৈরি, দাবি উত্তরপ্রদেশের সরকারের!

এই বিতর্কের মধ্যেই বুধবার উত্তরপ্রদেশ সরকার জানাল, জেলের মধ্যে বন্দিদের হাতে থাকা সেই পিস্তল নাকি মাটির তৈরি!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

উন্নাও শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৯ ১৫:২১
Share:

জেলের মধ্যেই পিস্তল হাতে দুই বন্দি। ছবি টুইটার থেকে সংগৃহীত।

উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলা সংশোধনাগার। সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের থাকার জায়গা। কিন্তু সেই জেলের মধ্যেই ঢালাও খানাপিনা-সহ পার্টির আমেজ। শুধু তাই নয়, জেলের ভিতর দেশি পিস্তল নিয়ে মস্তানের ভঙ্গিমায় পোজ দিচ্ছেন দুই বন্দি। এই সকল দৃশ্যের ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে প়ড়তেই ভাইরাল হয়। জেলের মধ্যে বন্দিরা কী করে পিস্তল পেল- তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শুরু হয় বিতর্ক। এই বিতর্কের মধ্যেই বুধবার উত্তরপ্রদেশ সরকার জানাল, জেলের মধ্যে বন্দিদের হাতে থাকা সেই পিস্তল নাকি মাটির তৈরি!

Advertisement

এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। উন্নাও জেলের চার জন আধিকাররিক ও বন্দিদের বিরুদ্ধে শুরু হয় তদন্ত। সেই তদন্ত শুরুর পরই পিস্তল নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বন্দিদের হাতের ওই পিস্তল ‘মাটির’ তৈরি। বন্দিরা নাকি ভাল ‘মৃৎশিল্পী’। তাই তাঁদের তৈরি সেই বন্দুক আসলের মতো দেখতে লাগছে।

আর ভিডিয়োয় দেখতে পাওয়া খাবার বাইরে থেকে আনা হয়নি। বন্দিদের রোজদিন যে খাবার দেওয়া হয়, সেই খাবারই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, বন্দুক হাতে মস্তানি দেখানো ওই দুই বন্দির নাম অমরিশ ও গৌরব। এর মধ্যে অমরিশকে মেরঠ ও গৌরবকে লখনউ জেল থেকে সেখানে আনা হয়েছিল। এরা দু’জনেই খুন, ডাকাতির ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত। এদের মধ্যে গৌরব খুব ভাল মৃৎশিল্পী। সে এই পিস্তল বানিয়েছে বলে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কর্তব্যরত অবস্থায় টিকটকে ভিডিয়ো, শো-কজ নার্সরা

উত্তরপ্রদেশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর (প্রিজন) আনন্দ কুমার বলেছেন, ‘‘তদন্তের সময় আমরা জানতে পারি এই ঘটনার সঙ্গে জেলের কিছু অফিসারও জড়িয়ে আছেন। সংশোধানাগার কর্তৃপক্ষের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই নাকি এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ জন্য চার জন জেল ওয়ার্ডার মাতা প্রসাদ, আবধেশ সাহু, সালিম খান ও হেমরাজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, ভিডিয়ো আসলে ফেব্রুয়ারি মাসের। সে জন্যই বন্দিদের শীতের পোশাকে দেখা যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: পানীয় জলের সঙ্কট! তাহলে ওয়াটার এটিএমই কি ভরসা?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement