BJP

হারা আসনে জিততে মোদীর মন্ত্রীদের দায়িত্ব

প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে ঠিক হয়েছে, দেশের প্রত্যেকটি লোকসভা কেন্দ্র ধরে একটি করে টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলবে দল। প্রতি টুইটার অ্যাকাউন্টে অন্তত পঞ্চাশ হাজার বিজেপি সমর্থককে জোড়া হবে।

Advertisement

অনমিত্র সেনগুপ্ত

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:২৯
Share:

গত লোকসভায় ৪৩৭টি আসনে লড়ে ৩০৩টি আসনে জেতেন মোদীরা। প্রতীকী ছবি।

কেন্দ্রে তৃতীয় বার নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সরকার গড়তে যত বেশি সম্ভব আসন জেতাই লক্ষ্য বিজেপি নেতৃত্বের।

Advertisement

গত লোকসভায় ৪৩৭টি আসনে লড়ে ৩০৩টি আসনে জেতেন মোদীরা। ১০ বছরের প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতাকে মাথায় নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নামছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার কারণে কিছু জেতা আসন হাতছাড়া হতে পারে। তা বুঝতে পেরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা ভেবেছে দল। প্রথমে ঠিক হয়, গত নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে দল দ্বিতীয় হয়েছিল এমন ১৪০টি আসন এ বার জেতার জন্য উঠে-পড়ে লাগা হবে। পরে সেই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১৬০ করা হয়। সূত্রের মতে, আসন্ন কর্মসমিতির বৈঠকে দ্বিতীয় বা তৃতীয় হওয়া দু’শোটি আসনে জেতার লক্ষ্য নিয়েছে পদ্মশিবির।

ভাবা হয়েছে, ওই হারা আসনগুলি জেতার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। বিজেপি সূত্রের মতে, প্রতি আট থেকে দশটি লোকসভা কেন্দ্র জেতানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে এক-এক জন মন্ত্রীকে। হারা কেন্দ্রগুলি জেতানোর প্রশ্নে জেলা-রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তর পর্যন্ত তিনটি বিশেষ কমিটি গঠিত হবে। মূলত জেলা ও রাজ্য স্তরের কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই নির্দিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রে জেতার প্রশ্নে রূপরেখা তৈরির দায়িত্বে থাকবে কেন্দ্রীয় কমিটি। তৃণমূল স্তরে সেই পরিকল্পনা রূপায়ণের দায়িত্বে থাকবে জেলা কমিটি। বিজেপি সূত্রের দাবি, তৃতীয় বার যাতে গত লোকসভার চেয়েও বেশি ব্যবধানে জিতে আসা যায়, সেই লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে দল।

Advertisement

প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে ঠিক হয়েছে, দেশের প্রত্যেকটি লোকসভা কেন্দ্র ধরে একটি করে টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলবে দল। প্রতি টুইটার অ্যাকাউন্টে অন্তত পঞ্চাশ হাজার বিজেপি সমর্থককে জোড়া হবে। যাঁদের কাজ হবে, টুইটারের মাধ্যমে ওই লোকসভা কেন্দ্রে স্থানীয় পর্যায়ে দলের হয়ে জনসংযোগে নামা। যাতে কেন্দ্র সরকারের কাজের সুফল সংশ্লিষ্ট আসনের মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে। একই সঙ্গে লোকসভা পিছু পঞ্চাশ হাজার কর্মীকে জনসংযোগ বাড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে। যাতে নির্বাচনের সময়ে সেই জনসমর্থন ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয়। পাশাপাশি, দেশের সর্বত্র, বি‌শেষ করে প্রান্তিক ও দূরবর্তী এলাকায়, সরকারের বিভিন্ন জনমুখী কাজের সুফল পৌঁছে দিতে বাইক গ্যাং-কে ব্যবহারের কথা ভাবছে দল। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘অধিকাংশ সময়ে দূরবর্তী প্রান্তে দলের সাফল্য তুলে ধরা সম্ভব হয় না। মূলত বাইক গ্যাংগুলি পাহাড়ি, দুর্গম এলাকায় পৌঁছে যেতে সক্ষম। তাই তাদের মাধ্যমে সরকারের কাজের কথা দেশের শেষ প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement