অখিলেশকে নিশানা শাহের। ফাইল চিত্র।
ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে অখিলেশকে চড়াসুরে আক্রমণ করলেন অমিত শাহ। তাঁর মতে, রাজ্যে সমাজবাদী পার্টি ক্ষমতায় ফিরলে গুন্ডারাজও ফেরত আসবে।
মাঝে মাত্র আর কয়েকটা দিন, তার পরেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার ভোট। চড়ছে উত্তেজনার পারদ। চলছে একে অন্যকে আক্রমণ। বৃহস্পতিবার মথুরার সভা থেকে সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবকে তীব্র আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কথায়, ‘‘ভোটে অখিলেশের ফেরা মানে উত্তরপ্রদেশে গুন্ডারাজের প্রত্যাবর্তন।’’ আবার এক বার বিজেপি-কে বিপুল ভোটে জয়ী করার আবেদন জানিয়ে শাহ বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন নির্ধারণ করবে ভারতের ভবিষ্যত।’’
উল্লেখ্য, যেখানে শাহি সভা হল, সেই মথুরায় কিছুটা হলেও এ বার ব্যাকফুটে বিজেপি। কারণ, জাঠ অধ্যুষিত মথুরায় কৃষি আইন নিয়ে তীব্র আন্দোলন দেখেছে দেশবাসী। আর বাইশের ভোটের আগে জাঠ নেতা তথা রাষ্ট্রীয় লোক দলের (আরএলডি) প্রধান জয়ন্ত চৌধরি হাত মিলিয়েছেন এসপি প্রধান অখিলেশের সঙ্গে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, এখানে বিজেপি-র লক্ষ্য, কৃষক অসন্তোষের সুযোগ নিয়ে জাঠ ও সংখ্যালঘু ভোটকে একজোট করে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ভাল ফল করা। আবার অযোধ্যা, বারাণসীর পর মথুরাকে কেন্দ্র করে বড় ধর্মস্থান তৈরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন গেরুয়া নেতারা।
এ দিকে বৃহস্পতিবার কোভিড বিধিনিষেধ মেনে স্বল্প সংখ্যক মানুষকে নিয়ে মথুরার সভার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শাহের গলায় ছিল সমাজবাদী পার্টির প্রতি তীব্র আক্রমণ। তিনি বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের সমস্ত অপরাধী ও গ্যাংস্টারের জায়গা এখন জেলের কুঠুরি। উত্তরপ্রদেশকে পরিবারবাদ থেকে বের করে এনে জাতিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছি আমরা।’’
এর পরই অখিলেশকে আক্রমণ করে শাহের মন্তব্য, ‘‘একটা সময় ছিল যখন উত্তরপ্রদেশে গুন্ডাদের ভয়ে তটস্থ থাকত পুলিশ। মহিলারা রাস্তায় বেরতে ভয় পেতেন। আর এখন অপরাধীরা ভয় পেয়ে গলায় রুমাল বাঁধা অবস্থাতেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, আবার সমাজবাদী পার্টি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে গুন্ডারাজে ফিরে আসবে।
বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন করে অমিত শাহের মন্তব্য, ‘‘২০ কোটি মানুষের উত্তরপ্রদেশ না এগোলে ভারত-ও এগোবে না। ভারতের ভাগ্য নির্ধারণ করবে উত্তরপ্রদেশ।’’