অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
আগামী ১৪ অগস্ট দিল্লির ভারতমণ্ডপমে দেশভাগ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিরোধীদের অভিযোগ, মূলত দেশভাগের সময়কার হিংসা ও বিদ্বেষের স্মৃতিকে উস্কে দিতেই ২০২১ সাল থেকে ওই দিনটি ‘বিভাজন বিভীষিকা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এ বার সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন খোদ অমিত শাহ। সম্প্রতি বাংলাদেশে ক্ষমতা পরিবর্তনের পরে অমিত এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার ঘটনায় হিন্দু সমাজের একাংশে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলেই মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। সেই ক্ষোভ নিরসন তথা বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের পাশে দাঁড়ানোর কোনও বার্তা অমিত দেন কি না, তা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশে পট পরিবর্তন নিয়ে এখনও পর্যন্ত সংসদে বিবৃতি দিয়েছেন কেবল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার দায়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ সব বিজেপি নেতাকেই মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ। কিন্তু গত তিন দিন ধরে পথে নেমেছে গেরুয়া শিবিরের ছাতার তলায় থাকা বিভিন্ন প্রান্তিক সংগঠন। ওই সংগঠনগুলির সাহায্যেই মেরুকরণের হাওয়া তুলতে চাইছে বিজেপি। সামনে তিন রাজ্যে ভোট। সে কারণে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশে হামলার প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছে। বাংলায় বিভিন্ন গেরুয়া সংগঠনের মিছিলে পা মিলিয়েছেন সাধারণ মানুষও। রাজ্য বিজেপির এক নেতার দাবি, ‘‘এই হাওয়া দু’বছর ধরে রাখতে পারলে রাজ্যে ভাল ফল হওয়া অসম্ভব নয়।’’
সংখ্যালঘু নিরাপত্তা নিয়ে আজ প্রথম বার মুখ খুলেছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাও। তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার খবর বিচলিত করার মতো। কোনও সভ্য সমাজে ধর্ম, জাতি, ভাষার কারণে হিংসা ও হামলা মেনে নেওয়া যায় না। আমি বিশ্বাস করি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ও সেখানকার অন্তর্বর্তী সরকার হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধদের সুরক্ষা ও সম্মান সুনিশ্চিত করবেন।’’