কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
মণিপুরের পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। গত ৩ মে থেকে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে। মে মাসেই মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মণিপুরের হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি-সহ অন্যান্য তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ থামানোই উদ্দেশ্য ছিল তাঁর। মণিপুর সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিবিআই তদন্তেরও ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শাহের সফরের পরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এখনও ঘরছাড়া ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। গোষ্ঠীহিংসার জেরে নিহত ১১৫ জন। তাই মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে টুইট করে ঘোষণা করা হয়, ২৪ জুন অর্থাৎ শনিবার দুপুর ৩টে নাগাদ নয়াদিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক করা হবে। মেইতেই জনগোষ্ঠীর তরফে গত দু’সপ্তাহ ধরে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরা হামলা চালাচ্ছেন।
যদিও জনজাতি সংগঠনগুলির যুক্তমঞ্চ ‘ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার্স ফোরাম’-এর অভিযোগ, কাংপোকপি এবং ইম্ফল পশ্চিম জেলার সীমানায় খোকেন গ্রামে যে এক মহিলা-সহ তিন জনকে খুন করা হয়েছে, সেখানকার হামলাকারীরা মেইতেই জনগোষ্ঠীর।মণিপুরে গোষ্ঠীহিংসার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের সন্ধান পেতে শুক্রবার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়েছে সিবিআই। ১০ সদস্যের সিট-এর নেতৃত্বে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। সিবিআইয়ের তরফে শুক্রবারই ছ’টি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।