—ফাইল চিত্র
কেন্দ্র নয়, করোনা সংক্রমণের নিরিখে এ বার থেকে কোনও জায়গাকে রেড, অরেঞ্জ বা গ্রিন জোন হিসাবে চিহ্নিত করতে পারবে রাজ্যই। তবে কোন মাপকাঠির নিরিখে রাজ্যগুলি সেই পদক্ষেপ করবে সে জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেইসঙ্গে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট অ্যাকশন প্ল্যানও। এ নিয়ে সব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদান। করোনা সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রের পরিকল্পনা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে ওই চিঠিতে।
করোনা সংক্রমণের নিরিখে কোনও এলাকাকে রেড, অরেঞ্জ না গ্রিন জোনে চিহ্নিত করা হবে সে ভার থাকুক রাজ্যের হাতেই। চতুর্থ দফার লকডাউনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শেষ বারের বৈঠকে এই দাবি তোলেন একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তা মেনে নিয়ে রাজ্যের হাতেই বিষয়টি ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার এ নিয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠিও পাঠান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদান।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্যগুলিই জেলা ও পুরসভাগুলিকে রেড, অরেঞ্জ বা গ্রিন জোন হিসাবে চিহ্নিত করতে পারে। কোথায় রোগ কতটা ছড়িয়েছে, কত জন সংস্পর্শে এসেছেন এবং তাঁদের এলাকা, এগুলি বিস্তারিত বিশ্লেষণের পরে মহকুমা, ওয়ার্ড অথবা যে কোনও এলাকাকে চিহ্নিত করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে গতি, বুধবার দুপুরে প্রবল বেগে আছড়ে পড়বে সুপার সাইক্লোন ‘আমপান’
এ ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি মাপকাঠির দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। কোন এলাকায় পরিস্থিতির উন্নতি বা অবনতি ঘটছে তা নিয়মিত ভাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে জানাতে বলা হয়েছে। কোন কোন দিক বিচার করে কন্টেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হবে তা-ও বলা হয়েছে চিঠিতে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আটকে পড়া ১৬৯ জন কলকাতায় ফিরলেন বিশেষ বিমানে
কোনও এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত করা হলে কী কী বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হবে তার স্পষ্ট গাইডলাইন দিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। সেইসঙ্গে কন্টেনমেন্ট জোনের ভিতরে কড়া নজরদারি চলবে। কী ভাবে তা চলবে তা জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রত্যেক কন্টেনমেন্ট জোনের বাইরে বাফার জোন রাখা বাধ্যতামূলক। কোন কোন ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে তাও বলা হয়েছে।
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
কন্টেনমেন্ট জোনে ২৮ দিনের মধ্যে নতুন সংক্রমণ না হলে ‘কন্টেনমেন্ট অপারেশন’ সফল হবে বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।