প্রতীকী ছবি।
আগের সপ্তাহেই ‘লিভ ট্রাভেল কনসেশন’ বা এলটিসির ঘোষণা হয়েছিল। এ বার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের উৎসব বোনাস ঘোষণা করল সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ বুধবারই বোনাসের অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। ‘প্রোডাক্টিভিটি’ ও ‘নন প্রোডাক্টিভিটি’ বোনাসের সুবিধা পাবেন প্রায় ৩০ লক্ষ নন গেজেটেড কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী। সরকারের খরচ হবে ৩ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই বোনাসের টাকা কর্মীদের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাভড়েকর।
করোনা-লকডাউনের জেরে রাজকোষের হাল শোচনীয়। সাড়ে ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রেল পরিষেবা। রেলের আয় প্রায় শূন্যে এসে নেমেছে। সামগ্রিক ভাবে অর্থনীতিও কার্যত তলানিতে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মীদের বোনাস এ বছর দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। সেই সংশয় থেকেই বোনাস না পেলে ২২ অক্টোবর অবরোধের হুমকি দিয়েছিলেন রেল কর্মীরা। তার আগের দিনই বোনাস ঘোষণা করল কেন্দ্র। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, কর্মীদের চাপে পড়েই কার্যত বোনাস ঘোষণা করতে হল সরকারকে।
জাভড়েকর জানিয়েছেন, প্রোডাক্টিভিটি বোনাস পাবেন দেশের বিভিন্ন সরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৭ লাখ নন গেজেটেড কর্মী। এর মধ্যে রয়েছে রেল, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, ইপিএফও, ইএসআই-এর মতো সংস্থার কর্মীরা। এই শ্রেণির কর্মীদের বোনাস দিতে সরকারের হিসেবে খরচ হবে ২ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। সাধারণ প্রাশাসন-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রের বাকি ১৩ লাখ নন গেজেটেড কর্মীদের জন্য রাজকোষ থেকে সরকারকে দিতে হবে ৯৪৬ কোটি টাকা। জাভড়েকর আরও জানিয়েছেন, এক দফায় বিজয়া দশমীর আগেই বোনাসের টাকা হাতে পাবেন কর্মীরা।
আরও পড়ুন: দর্শক ঢোকাতে পুজো কমিটিগুলির আর্জি খারিজ হাইকোর্টে
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সিন্ধের আইজি-কে অপহরণ সেনার! গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি করাচিতে
গত সপ্তাহেই সরকারি কর্মীদের জন্য এলটিসি ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ওই খাতে খরচের জন্য ৩৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। এতে ১ লক্ষ কোটি টাকার চাহিদা বাজারে তৈরি হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। এ দিন বোনাসের ঘোষণা করে জাভড়েকর বলেন, ‘‘সাধারণ মধ্যবিত্তের হাতে নগদ টাকা এলে মানুষের খরচের প্রবণতা বাড়বে এবং তাতে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।’’