ফাইল চিত্র।
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ও-পারে চিনা পরিকাঠামো ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের কারণ। যে কোনও সংঘাতের সময়ে লাল ফৌজ দ্রুত পৌঁছে যায় সীমান্তে। পরিকাঠামোগত সমস্যার কারণে ভারতের সময় লাগে বেশি। শুধু তা-ই নয়, কঠিন আবহাওয়ায় সীমান্তবর্তী গ্রাম এবং সেনা ছাউনিতে জীবনধারণও দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়। বাজেটে আজ সেই সব সঙ্কটমোচনের চেষ্টা দেখা গেল।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁর বাজেট বক্তৃতায় জানিয়েছেন, উত্তর ভারতে এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে পরিকাঠামো, আবাসন, পর্যটনকেন্দ্র, সড়ক সংযোগ, জীবিকার সহায়তার মতো একাধিক প্রকল্প রূপায়ণ করবে সরকার। এ জন্য বর্তমান যোজনাগুলিকে আরও শক্তিশালী করে, সেগুলিতে ব্যয়-বরাদ্দ বাড়ানোর কথাও ঘোষণা করেন তিনি।
গত দু’বছর ধরে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় ভারত-চিন সংঘাত পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে এই ক্ষেত্রে ভারতের দুর্বলতাকে সামনে নিয়ে এসেছে। শীতকালে সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনাদের অবস্থানও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এ বার তার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করা হল বাজেটে, এমনটাই দাবি করছে কেন্দ্র।
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “যাঁরা ভারতের পাহাড়ি এলাকা তথা হিমালয়ের কোলের বাসিন্দা, সেখানে যাতে জীবন সহজ হয়, সেখান থেকে পালাতে না হয়, সে দিকে নজর রেখে এই ঘোষণা করা হয়েছে। হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তর পূর্বাঞ্চলে এই প্রথম বার পর্বতমালা যোজনা শুরু করা হচ্ছে। এই যোজনার মাধ্যমে পাহাড়ে যাতায়াত ব্যবস্থা এবং সংযোগের আধুনিকীকরণ করা হবে। দেশের সীমান্তবর্তী যে সব গ্রাম রয়েছে, তাদের শক্তিশালী করা প্রয়োজন। দেশের নিরাপত্তার জন্য এটি অতি আবশ্যক। এই যোজনার ফলে এই গ্রামগুলির শক্তি বাড়বে।”
নির্মলা বলেন, “সীমান্তের গ্রামগুলির সংযোগ ব্যবস্থা সীমাবদ্ধ। উন্নয়নের ফলাফল তাদের কাছে পৌঁছয় না। উত্তর ভারতের সীমান্তবর্তী এই গ্রামগুলি এ বার নতুন যোজনার সুফল পাবে।” তিনি জানান পরিকাঠামো বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রামগুলিতে দূরদর্শন এবং শিক্ষামূলক চ্যানেল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে।