দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই বাস। ছবি: পিটিআই।
দুর্ঘটনার আগে স্কুলপড়ুয়ারা বার বার চালককে এই অনুরোধই করেছিল। অভিযোগ, সেই কথাতে কান দেননি চালক। বরং বাসের গতি আরও বাড়িয়েছিল। আর সেটাই কাল হল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সোজা ধাক্কা মারে রাস্তার পাশের একটি গাছে। তার পর সেটি উল্টে যায়। বৃহস্পতিবার হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ের এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ছয় পড়ুয়ার। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ২০ জন।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ওই বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজ্য সরকার চার সদস্যের একটি তদন্তকারী কমিটিও গঠন করেছে। শুধু তাই-ই নয়, যেখানে ইদের দিন সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল, তার পরেও কেন স্কুল খুলে রেখেছিলেন কর্তৃপক্ষ? তার জবাব চেয়েও তাঁদের চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এই ঘটনায় দ্বাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়া এফআইআর দায়ের করেছে। সেই এফআইআরে বলা হয়েছে, চালক জোরে বাস চালাচ্ছিলেন। পড়ুয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা তখন ‘ড্রাইভার কাকু’কে ধীরে বাস চালানোর জন্য বার বার অনুরোধ করে। কিন্তু ‘ড্রাইভার কাকু’ তাদের পাল্টা হুমকি দেন। তার পরই দুর্ঘটনা ঘটে।
চালকের মেডিক্যাল পরীক্ষার পর পুলিশ জানিয়েছে, মত্ত অবস্থায় ছিলেন তিনি। আর সে কারণেই বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চালককে মত্ত অবস্থায় দেখে গ্রামবাসীরা বাসের চাবি কেড়ে নিয়েছিলেন। তার পর স্কুল কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন তাঁরা। জানিয়ে দেন, চালক মত্ত অবস্থায় রয়েছে, তাঁকে বাস চালাতে দেওয়া যাবে না। বেশ কিছু ক্ষণ বাস আটকে রাখার পর স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে পাল্টা আশ্বাস দেওয়া হয়, চালককে আপাতত ছেড়ে দেওয়া হোক। খুব শীঘ্রই ওঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পেয়ে গ্রামবাসীরা বাস ছেড়ে দেন। তার পরই বাসটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়।