দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস। —ফাইল চিত্র।
বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর চার মাস অতিক্রান্ত। এখনও ২৮ জনের দেহ অশনাক্ত থেকে গিয়েছে। ওই দেহগুলির কোনও উপযুক্ত দাবিদার, আত্মীয়-পরিজনকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু আর অপেক্ষা করা হবে না। ভুবনেশ্বর পুরসভা কর্তৃপক্ষ রবিবার জানিয়েছেন, এ বার ওই দেহগুলির সৎকার করা হবে। আর সংরক্ষণ করা যাবে না।
এত দিন দেহগুলি ভুবনেশ্বর এমসে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে রাখা ছিল। মৃতদের পরিবার, পরিজন, পরিচিতদের মধ্যে কেউ যদি সঠিক পরিচয় দিয়ে দেহ নিয়ে যান, সেই অপেক্ষা করা হচ্ছিল। রবিবার ভুবনেশ্বর পুরসভা জানিয়েছে, এ বার দেহগুলি প্রশাসনের উদ্যোগেই দাহ করে দেওয়া হবে।
ভুবনেশ্বর এমস থেকে ২৮টি দেহ সিবিআইয়ের উপস্থিতিতে পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই দুর্ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তাই তাদের তত্ত্বাবধানেই হবে সৎকারপর্ব। আগামী মঙ্গলবার ২৮টি দেহ দাহ করবে প্রশাসন।
সিবিআইয়ের তরফেই অশনাক্ত দেহগুলি সৎকারের জন্য খুরদা জেলাশাসককে চিঠি লেখা হয়েছিল। এমস থেকে দেহগুলি সুষ্ঠু ভাবে যাতে শ্মশান পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়, তা নিশ্চিত করার অনুরোধও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গোটা প্রক্রিয়াটি ভিডিয়োগ্রাফির মাধ্যমে রেকর্ড করা হবে।
গত ২ জুন ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগা বাজার স্টেশনে লাইনচ্যুত হয়েছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। উল্টো দিক থেকে আসা বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়িও একইসঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় ২৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬২টি মৃতদেহ এমসে সংরক্ষণের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ৮১টি দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাকি ৫৮টি দেহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে হস্তান্তর করে দেওয়া হয়। তার পরেও ২৮টি দেহ পড়ে ছিল।