Twin

প্রসূতিকে ঘোরাল তিন হাসপাতাল, গর্ভেই মৃত যমজ সন্তান

ওই মহিলার নাম শাহালা। বাড়ি কেরলের মল্লপুরমে। সেপ্টেম্বরের গোড়ায় শাহালার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লেও পরে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কোঝিকোড় শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:২১
Share:

প্রতীকী চিত্র।

প্রসববেদনা ওঠায় গিয়েছিলেন হাসাপাতালে। কিন্তু করোনাভীতিতে ভর্তি নিতে চায়নি সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে তিনটে হাসপাতাল। দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টা ঘোরাঘুরির পরে শুরু হয় চিকিৎসা। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তিনি সুস্থ থাকলেও অপারেশনের পর দেখা যায় তাঁর গর্ভস্থ যমজ সন্তানদের মৃত্যু হয়েছে। এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি কেরলের মল্লপুরমের। এই খবর সামনে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা।

Advertisement

ওই মহিলার নাম শাহালা। বাড়ি কেরলের মল্লপুরমে। সেপ্টেম্বরের গোড়ায় শাহালার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লেও পরে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাঁর স্বামী এনসি শেরিফর অভিযোগ, ২০ বছরের স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে ১৪ ঘণ্টা ঘুরতে হয়েছে তাঁকে। তিনি বলেছেন, ‘‘শনিবার ভোর সাড়ে ৪টের সময়ে শাহালার প্রসববেদনা ওঠে। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে সন্ধে সাড়ে ৬টা বেজে যায়।’’

প্রথমে স্ত্রীকে নিয়ে শেরিফ গিয়েছিলেন মাল্লপুরমের মঞ্জেরি মেডিক্যাল হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় কোভিড হাসপাতাল হওয়ায় এখানে ভর্তি নেওয়া যাবে না। এদাভান্নার একটি বেসরকারি হাসপাতালও কোভিডে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে ভেবে ভর্তি নিয়ে চায়নি। কোঝিকোড়ের জেলার অপর একটি হাসপাতালও ভর্তি নিতে চায়নি। সব শেষে কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তখন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পেরিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

এর পর রবিবার অপারেশন করতেই দেখা গিয়েছে, ওই মহিলার গর্ভস্থ যমজ সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। এর পরই বিষয়টি সামনে আসে। ইতিমধ্যেই মঞ্জেরি মেডিক্যাল কলেজের সুপারিন্ট়ে়ডেন্টের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন মল্লপুরমের জেলা মেডিক্যাল অফিসার।

আরও পড়ুন: ‘গেন্দা ফুল’ গানের সঙ্গে হুলা নাচ, মন জিতলেন এষণা

আরও পড়ুন: ‘গুলি করে মারবেন না’, বুকে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ উত্তরপ্রদেশের দুষ্কৃতীর

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement