দিল্লি দাঙ্গা মামলায় ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে জেল হেফাজতে রয়েছেন জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খলিদ। —ফাইল চিত্র।
দিল্লি হিংসা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত উমর খালিদের ৭ দিনের অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল জেলা ও দায়রা আদালত। আদালতের নির্দেশ, ২৩ ডিসেম্বর জেলের বাইরে আসতে পারবেন উমর। তবে তাঁকে ৩০ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
ডিসেম্বরে বোনের বিয়েতে যোগ দেওয়ার জন্য দিল্লির তিস হাজারি আদালতে আবেদন করেছিলেন উমর। সোমবার সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারক অমিতাভ রাওয়ত।
দিল্লি দাঙ্গা মামলায় ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে জেল হেফাজতে রয়েছেন উমর। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-তে মামলা চলছে। ফলে ডিসেম্বরে প্রায় প্রায় ২ বছর পর জেলের বাইরে পা রাখবেন তিনি।
দিল্লি দাঙ্গার সময় পাথর ছোড়ার মামলায় উমর-সহ প্রাক্তন ছাত্রনেতা খলিদ সইফিকে মুক্তি দিয়েছে করকরদুমা আদালত। তবে উমর এবং সইফি, দু’জনেই দিল্লি হিংসা মামলায় দেশদ্রোহিতার ধারায় অভিযুক্ত হিসাবে জেলে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ২৩ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হিংসায় ৫৩ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হন শতাধিক। ওই দাঙ্গার আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) বিরোধিতায় নানা প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ছিলেন দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর-সহ তাঁর সহযোগীরা। দিল্লি পুলিশের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অঙ্গ হিসাবে ওই হিংসাত্মক ঘটনাগুলি ঘটানো হয়েছে। এই মামলায় ওই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আয়োজনকারী হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে উমর-সহ বহু প্রতিবাদীকে। গত সেপ্টেম্বরে উমরের জেল হেফাজতে থাকার ২ বছর পূর্ণ হয়েছে।