অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।
অবসরের পর এককালীন ২২ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন এক বৃদ্ধ। গেম খেলার অছিলায় তাঁর কাছে থেকে মোবাইল নিয়ে সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের গোরোগাঁওয়ের।
গোরেগাঁও পূর্বের বাসিন্দা বছর আটষট্টির প্রকাশ নায়েক। বেস্ট-এর কর্মী ছিলেন তিনি। অবসরের পর ২২ লক্ষ টাকা পেয়ে তা ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রেখেছিলেন। অবসরের পর থেকেই রোজ সকালে কাছেরই একটি বাস ডিপোতে যেতেন। সেখানে বেশ কিছু ক্ষণ বসার পর, আবার বাড়িতে ফিরে আসতেন।
এ ভাবে নিত্য দিন যাতায়াত করতে করতে শুভম তিওয়ারি এবং অমর গুপ্ত নামে দুই যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় প্রকাশের। তিনি যখনই ওই বাস ডিপোতে যেতেন, শুভম এবং অমরের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। যত দিন গিয়েছে, শুভম এবং অমরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে প্রকাশের।
এক দিন শুভম এবং অমর বৃদ্ধের কাছে আবদার করেন তাঁর ফোন নিয়ে গেম খেলবেন। প্রকাশও ওই দুই যুবককে বিশ্বাস করে নিজের মোবাইলটি গেম খেলার জন্য দিয়ে দিতেন, আর খেলার ফাঁকে ফাঁকে তিন জনেরই নানা রকম হাসিঠাট্টা চলত। গেম খেলার অছিলায় প্রতি দিনই মোবাইল নেওয়া শুরু করেন শুভম এবং অমর। প্রকাশের অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে প্রথমে অল্প পরিমাণ টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে পাঠাতে শুরু করেন। বৃদ্ধের কোনও সন্দেহ হচ্ছে কি না, সেটাও খেয়াল রাখতেন। যখন দেখলেন বৃদ্ধ কোনও সন্দেহ প্রকাশ করছেন না বা টাকার প্রসঙ্গ তুলছেন না, আরও নিশ্চিন্ত হয়ে বেশি পরিমাণে টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো শুরু করেন। এ ভাবে দু’মাসের মধ্যে দু’লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন তাঁরা।
তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা কত আছে তা জানার জন্য মাস দুয়েক পর ব্যাঙ্কে যান প্রকাশ। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন অ্যাকাউন্ট শূন্য। কোনও টাকাই নেই। এর পরই বৃদ্ধের সন্দেহ হয় শুভম এবং অমরের উপর। পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ অমর এবং শুভমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তাঁরা টাকা হাতানোর কথা স্বীকার করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর পরই গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে।