ডিজে বাজিয়ে ওয়ার্ডে ঘুরছেন বিজেপি প্রার্থী।
পুরসভার ভোটে এক দিকে যখন জয়ী প্রার্থীরা রাস্তায় বিজয় মিছিল নিয়ে বেরিয়েছেন, সেই সময় অন্য এক জনকে আবার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ডিজে বাজিয়ে রাস্তায় উল্লাস করতে দেখে গেল। তিনি বিজেপি থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর দাবি, হেরেও যে আনন্দ আছে, হারকেও যে মেনে নিতে হয় সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন তিনি।
মধ্যপ্রদেশের রতলম। ২০ জুলাই সেখানে পুরসভা ভোটের ফল বেরিয়েছে। রতলমে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন শাহিদ হুসেন। ফল বেরোনের পর দেখা যায় কংগ্রেস প্রার্থী নাসির কুরেশির কাছে তিনি মাত্র ২৭৮ ভোটে হেরেছেন। হুসেন পেয়েছেন মোট ১,৬৩৮ ভোট আর কুরেশি পেয়েছেন ১,৯১৬টি।
জয়ী প্রার্থীরা যখন তাঁদের জয় নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা, তখন নিজের হারকে অভিনব কায়দায় উপভোগ করলেন হুসেন। সাধারণত ভোটে হেরে গেলে কর্মী-সমর্থক, প্রার্থীদের মধ্যে নৈঃশব্দ্যের একটা আবহ তৈরি হয়। কিন্তু হেরেও যে আনন্দ করা যায় এবং তা নিজের মতো করেই, সেটাই গোটা দেশকে দেখালেন হুসেন।
হেরে গিয়ে দুঃখ হয়নি বা হতাশ হননি? এ প্রসঙ্গে হুসেনের সাফ জবাব, ‘‘হারে আবার লজ্জা কিসের! আমার কাছে এই হারের থেকেও সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এটাই যে, আমার ওয়ার্ডে বিজেপি রেকর্ড মাত্রায় ভোট পেয়েছে।” হুসেন আরও বলেন, “এর আগের নির্বাচনগুলিতে বিজেপি ৯০০ ভোটও পায়নি। এ বার সেখানে এক হাজারেরও বেশি ভোট, ভাবাই যায় না। আর এটাই আমার জয়। এটাই আমার আনন্দের কারণ।”
হুসেন জানান, যে ভাবে তাঁর ওয়ার্ডের মানুষ তাঁকে ভোট দিয়েছেন, তাঁর জন্য কৃতজ্ঞ। হেরেছেন তো কী হয়েছে, যাঁরা ভোট দিয়ে তাঁকে হাজারের সংখ্যা পার করিয়েছেন, তাঁদের প্রতিও তো একটা দায়িত্ব থেকে যায়। তাই ভোটে হেরেও আফসোস নেই হুসেনের। বরং তাঁর ওয়ার্ডের লোকেদের পাশে আরও বেশি করে থাকতে চাইছেন।