আইএএস অফিসার কৃতিকা শুক্লা এবং আইপিএস এম দীপিকা (বাঁ দিক থেকে)।
সম্প্রতি কার্যকর হওয়া অন্ধ্রপ্রদেশের দিশা আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য দুই মহিলা অফিসারের উপর যাবতীয় দায়িত্বভার দিল রাজ্য প্রশাসন। যে দুই মহিলা অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন আইএএস অফিসার কৃতিকা শুক্লা এবং আইপিএস এম দীপিকা। বৃহস্পতিবার তাঁরা নিজেদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
এর মধ্যে কৃতিকা শুক্লা ওই রাজ্যের নারী উন্নয়ন এবং শিশু সুরক্ষা বিভাগের ডিরেক্টর। তাঁকে অতিরিক্ত চার্জ দিয়ে দিশা-র স্পেশাল অফিসার করা হয়েছে। এম দীপিকা অন্ধ্রপ্রদেশের কুরনুলের অ্যাডিশনাল সুপারিটেন্ডেন্ট অব পুলিশ। তাঁকে দিশা স্পেশাল অফিসার করা হয়েছে।
তেলঙ্গানার তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার দুসপ্তাহ পরে মহিলা এবং শিশুদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে কঠিন আইন আনে অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা। ১৩ ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় সেই আইন পাশ হয়। এই আইনের নাম রাখা হয় অন্ধ্রপ্রদেশ দিশা অ্যাক্ট।
আরও পড়ুন: আমেরিকার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর বদলার হুমকি ইরানের শীর্ষ নেতার
ওই তরুণী চিকিৎসকের গণধর্ষণের ঘটনা সামনে আসার পর এই দিশা নামেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল সারা দেশ। দিল্লির নির্ভয়ার মতো সবার কাছে ওই তরুণী চিকিৎসক হয়ে উঠেছিলেন দিশা। তাঁর সেই নামেই নামকরণ করা হয় অন্ধ্রপ্রদেশের এই নতুন আইনের।
আরও পড়ুন: নৈহাটিতে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু ৪ অন্তত জনের
এই আইন অনুযায়ী, ধর্ষণ এবং অ্যাসিড ছোড়ার মতো ভয়াবহ মামলার দ্রুত শুনানি হবে। ১৪ দিনের মধ্যে শুনানি শেষ করতে হবে এবং ঘটনার ২১ দিনের মধ্যে মামলার রায় দিতে হবে। দ্রুত শুনানির জন্য ১৩টি জেলায় বিশেষ আদালত গঠন করা হবে।