Narendra Modi

বিবিসির সেই তথ্যচিত্র নিয়ে উত্তপ্ত জামিয়া মিলিয়া! পৌঁছল পুলিশ, আটক দুই এসএফআই সদস্য

বুধবার সন্ধ্যায় তথ্যচিত্রটি দেখানোর পরিকল্পনা করে এসএফআই। তার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে কোনও অবৈধ জমায়েত করতে দেওয়া হবে না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:১২
Share:

বিবিসির মোদী তথ্যচিত্র নিয়ে উত্তপ্ত জামিয়া মিলিয়া। ফাইল চিত্র।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দি মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে বিতর্ক চলছেই। গত মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে ‘নিষিদ্ধ’ এই তথ্যচিত্রটি দেখাতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরোধিতার মুখে পড়ার অভিযোগ তুলেছিলেন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এর পড়ুয়াদের একাংশ। এ বার এই তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত হল দিল্লিরই আর এক প্রখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায়।

Advertisement

বুধবার সন্ধ্যায় তথ্যচিত্রটি দেখানোর পরিকল্পনা করে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। মঙ্গলবারই তাঁদের এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ছাত্র সংগঠনটি। তার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে কোনও অবৈধ এবং অননুমোদিত জমায়েত করতে দেওয়া হবে না। বুধবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে যায় পুলিশের বিশাল একটি দল। তাদের সঙ্গে ছিল কাঁদানে গ্যাসের সেলও। তার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ছাত্র সংগঠনটির দাবি, পুলিশ পাঠিয়ে তাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।

Advertisement

মঙ্গলবার তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন বন্ধ করতে জেএনইউ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্র সংসদের দফতরের বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কর্তৃপক্ষের বাধা পেয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুয়াদের একাংশ ছাত্র সংসদের দফতর থেকে ক্যান্টিনে যান। সেখানেই তাঁরা তাঁদের মোবাইলে ডাউনলোড করা তথ্যচিত্রটি দেখেন। সেখানে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। জেএনএউ ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ অভিযোগ করেন, এই পাথর ছোড়ার ঘটনায় তাদের এক সদস্য আহত হয়েছেন।

রবিবার কেন্দ্রের তরফে ইউটিউব এবং টুইটারকে বিবিসি-র তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সমাজমাধ্যম থেকে তুলে নিতে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি, আইটি রুলস ২০২১-এর জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫০টির মতো টুইট তুলে নেওয়ার জন্যও কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়।

দু’দশক আগে গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানায় গোধরা-কাণ্ড এবং তার পরবর্তী সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রে। ‘দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি।

যদিও বিবিসি দাবি করেছে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। মোদী সরকারের ওই পদক্ষেপকে বিরোধী দলের নেতারা ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement