কোটিপতি হওয়ার লোভেই আড়াই কোটি টাকা গচ্চা গিয়েছে ওই চিকিৎসকের। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ। সব ইচ্ছা পূরণ করে দেবে। এমন আশ্বাস দিয়ে আড়াই কোটি টাকায় মামুলি প্রদীপ বিক্রি করে গ্রেফতার ২ ব্যক্তি। আর যিনি সেই প্রদীপ কিনেছেন তিনি আবার একজন লন্ডন ফেরত চিকিৎসক।
এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশের খারনগর এলাকার। সেখানকার বাসিন্দা চিকিৎসক লাকি খান ব্রহ্মপুরী থানায় তাঁকে ঠকানোর অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে, কোটিপতি হওয়ার লোভেই আড়াই কোটি টাকা গচ্চা গিয়েছে ওই চিকিৎসকের।
পুলিশকে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে সামিনা নামে এক রোগীনীর অপরেশন করেন তিনি। এর পরে সামিনার বাড়িতে মাঝমাঝেই ড্রেসিং করতে যেতেন। সেখানেই নিজেকে তান্ত্রিক বলে পরিচয় দেওয়া ইসলামুদ্দিনের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। নিজের জাদুবিদ্যার গুণে চিকিৎসককে কোটিপতি বানিয়ে দিতে পারে বলে দাবি করে ইসলামুদ্দিন। এর পরে আনিস নামে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ইসলামুদ্দিন একটি প্রদীপ বিক্রির প্রস্তাব দেয় লাকিকে। তাঁকে বলা হয়, এটিই আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ। যে কোনও ইচ্ছাপূরণের ক্ষমতা রয়েছে এই প্রদীপের। চিকিৎসক এমনও দাবি করেছেন যে, ইসলামুদ্দিন ও আনিস নাকি ওই প্রদীপ থেকে 'জিন' বার করিয়ে দেখায়। এর পরেই তিনি বিশ্বাস করে ওই প্রদীপটি আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কিনতে রাজি হয়ে যান।
আরও পড়ুন: গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি, দেশের সবাই টিকা পাবেন, আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
কিন্তু প্রদীপটি হাতে পাননি চিকিৎসক। ধাপে ধাপে আড়াই কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়ার পরে তাঁকে বলা হয়, প্রদীপটি দেওয়া যাবে না কারণ, সেটি ছুঁলে চিকিৎসকের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। কিছুদিন পরে চিকিৎসক বুঝতে পারেন, তিনি ঠকেছেন। তান্ত্রিক পরিচয় দেওয়া ইসলামুদ্দিন আসলে রোগিনী সামিমার স্বামী। তাঁকে ধোঁকা দিতে বন্ধু আনিসের সাহায্য নিয়ে জিন সেজেছিল ইসলামুদ্দিনই। এর পরেই তিনি পুলিশের কাছে যান।
ব্রহ্মপুরী থানার অফিসার অমিত রাই জানিয়েছেন, ইসলামুদ্দিন ও আনিসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সামিমা নামে মহিলাও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরও খোঁজ করা হচ্ছে।