প্রতীকী চিত্র।
শ্রীনগরে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হল দুই জঙ্গি। পুলিশের দাবি, নিহতদের মধ্যে রয়েছে নওগামে সিআরপিএফের উপরে সাম্প্রতিক হামলায় জড়িত লস্কর কমান্ডার সইফুল্লা। চলতি বছরে এ নিয়ে শ্রীনগরে আটটি বাহিনী-জঙ্গি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল।
পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে আজ সকালে রামবাগ এলাকা ঘিরে ফেলে যৌথ বাহিনী। জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু জবাবে গুলি ছোড়ে তারা। ফলে সংঘর্ষ শুরু হয়। তাতে নিহত হয় দুই জঙ্গি। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত লস্কর কমান্ডার পাকিস্তানি। সে নওগাম, চাদুরা ও কান্ডিজ়ালে বাহিনীর উপরে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল। নিহত দ্বিতীয় জঙ্গি ইরশাদ আহমেদ দার ওরফে আবু উসামা পুলওয়ামার বাসিন্দা।
সংঘর্ষের পরে এক সাংবাদিক বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ জানান, চলতি বছরে শ্রীনগরে আটটি সংঘর্ষে ১৮ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। গোটা জম্মু-কাশ্মীরে ৭৫টি জঙ্গি-দমন অভিযান চালিয়েছে বাহিনী। তাতে ১৮০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। ১৩৮ জন জঙ্গি ও তাদের সহযোগীদের পাকড়াও করা হয়েছে। দিলবাগের দাবি, গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে নিহত ও ধৃত জঙ্গির সংখ্যার নিরিখে রেকর্ড সাফল্য পেয়েছে বাহিনী। দিলবাগের বক্তব্য, ‘‘চলতি বছরে প্রায় সব অভিযানেই নিরীহ মানুষের মৃত্যু এড়ানো গিয়েছে। কেবল শ্রীনগরের বাটামালুতে সংঘর্ষের সময়ে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এক মহিলা নিহত হন।’’ জঙ্গি-দমন অভিযানে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন সেনা, ২১ জন সিআরপিএফ জওয়ান ও ১৯ জন পুলিশকর্মী নিহত হয়েছেন। সেনাদের অধিকাংশই নিহত হয়েছেন নিয়ন্ত্রণরেখায়।
কিন্তু লস্কর ও অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলি কি শ্রীনগরে ফের ঘাঁটি গাড়তে চাইছে? দিলবাগের বক্তব্য, ‘‘সে চেষ্টা ওরা সব সময়েই করে। কিন্তু আমাদের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক যথেষ্ট শক্তিশালী। ফলে ওদের খোঁজ পেতে অসুবিধে হয় না। এখন শ্রীনগরে মাত্র এক জন জঙ্গি সক্রিয়। শীঘ্রই তার খোঁজ পাওয়া যাবে।’’ এখনও পর্যন্ত জঙ্গি দলে যোগ দেওয়া ২৬ জন যুবককে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন দিলবাগ। এই যুবকদের জম্মু-কাশ্মীরের বাইরে পাঠানোর সরকারি নীতি প্রণয়ন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।